যে দিকে থুতু ফেলতে নিষেধ করেছেন নবীজি
আমরা জানি পশ্চিম দিকে থুতু ফেলতে হাদিসে নিষেধ রয়েছে। কারও কারও বাসার বেসিন পশ্চিম দিকে করা। তখন পশ্চিম দিকে মুখ করে নিচের দিকে কুলির পানি বা থুথু ফেলা যাবে কি?
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী কারিম (সা.) কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তার কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তার চেহারায় তা ফুটে উঠল। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেন—
তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তার ও কিবলার মাঝখানে তার রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তার বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাদরের আঁচল দিয়ে— তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তার এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেন, অথবা সে এরূপ করবে।
(বুখারি, হাদিস : ৪০৫; মুসলিম, হাদিস : ৪৯৩; নাসায়ি, হাদিস : ৩০৮; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬০; ইবন মাজাহ, হাদিস : ৭৬২; আহমদ, হাদিস : ১১৬৫১; দারেমি, হাদিস : ৪১৩৯৬; সহিহ আল-জামি, হাদিস : ১৫৩৭, ইবনে হিব্বান, হাদিস : ২২৬৭)
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কিবলার দিকে থুথু ফেলল, সে কিয়ামাতের দিন তার দুই চোখের মাঝে ওই থুথু নিয়ে উপস্থিত হবে। (সাহিহুল জামি, হাদিস : ৬১৬০)
এখন কথা হলো- পশ্চিম দিকে থুথু ফেলা যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়— তাহলে তা জায়েজ। ইচ্ছাকৃত তবে অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে নয়, এমন হলে মাকরুহ। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত অবস্থায় কোনো সমস্যা হবে না।
এছাড়াও বাসার বেসিন যেহেতু পশ্চিম দিকে করা, পশ্চিম দিকে মুখ করে নিচের দিকে কুলির পানি বা থুথু ফেললেও অনেকটা পশ্চিম দিক হয়েই এগুলো করতে হয়, তাই অসম্মানের উদ্দেশ্য না নিলেও তা মাকরুহ হবে। তাই এক্ষেত্রে বেসিনের অন্য সাইট থেকে কুলি করা যেতে পারে অথবা মুখ নিচের দিকে করে থুতু ফেলা যেতে পারে।