দুই সিজদার মাঝের দোয়ার বিধান
দুই সিজদার মাঝে দোয়া রয়েছে। নামাজের অন্যান্য দোয়ার মতো এই দোয়াটিও সুন্নত। তবে এ সময় দোয়া পড়ার হুকুম নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতে এই দোয়াটি মুস্তাহাব। এটি নামাজের ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাম্বলি মাজহাব মতে এটি ওয়াজিব। কারণ, রাসুল (সা.) নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই সিজদার মাঝে এটি পড়তেন। আর নামাজের প্রতিটি আমল আল্লাহর জিকির থেকে খালি নয়। এবং সবগুলো জিকির ওয়াজিব। অতএব, দুই সিজদার মাঝের জিকির বা দোয়ার হুকুম অন্যান্যগুলোর মতো। সে ক্ষেত্রে অন্তত ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ একবার বলা ওয়াজিব। এরচেয়ে বেশি বলা মুস্তাহাব।
তবে ‘জমহুর ওলামা’ বা অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম যে মত দিয়েছেন, তা শক্তিশালী ও অধিক যুক্তিযুক্ত। কারণ, ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে স্পষ্ট কোনো দলিল নেই। আবার কিছু কিছু হাম্বলি মাজহাবের অনুসারী এই বক্তব্যটি গ্রহণ করেছেন। তাই জমহুর ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য গ্রহণ উত্তম।
দুই সিজদার মাঝের দোয়া
হাদিসে শব্দগুলোর ক্ষেত্রে বিভিন্নতা রয়েছে। কোথাও কম, আবার কোথাও বেশি। সব মিলিয়ে এই দোয়ায় সাতটি শব্দ রয়েছে। সে হিসেবে দোয়াটির পূর্ণ রূপ এমন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ، وَارْحَمْنِي ، وَاجْبُرْنِي ، وَاهْدِنِي ، وَارْزُقْنِي ، وَعَافِنِي ، وَارْفَعْنِي
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, ওয়ার হামনি, ওয়াজবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি, ওয়া আ’ফিনি ওয়ারফা’নি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন। আমার প্রয়োজন পুরো করে দিন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। আমাকে সুস্থতা দান করুন এবং আমার সম্মান বৃদ্ধি করুন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৫০; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৮৮)