যে ৫ কাজ উত্তম বলেছেন নবীজি
মানুষের ভালো ও মন্দ কাজের ভিত্তিতেই তার দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য নির্ণিত হয়। তার ব্যক্তিত্বের মূল্যায়নও করা হয় ভালো-মন্দের হিসেবে। তাই শান্তির ধর্ম ইসলাম মানুষকে সর্বোতভাবে ও সবসময় উত্তম, কল্যাণকর ও সৃষ্টিসেবী কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।
আল্লাহর (সা.) যেসব কাজকে ‘খায়ের’ তথা কল্যাণকর বা উত্তম বলেছেন তার মধ্যে ৫টি বিশেষ আমল পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো—
এক. অসহায় মানুষের জন্য খরচ করা
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ওপরের হাত উত্তম নিচের হাত থেকে। ওপরের হাত হলো খরচকারী হাত, নিচের হাত হলো গ্রহণকারী হাত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪২৯)
দুই. অন্যকে খাবার খাওয়ানো
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, ইসলামের কোন আমলটি উত্তম? তিনি বলেন, আহার করানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম প্রদান করা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮)
আরও পড়ুন : যে ৭ আমলকে নবীজি সবচেয়ে উত্তম বলেছেন
তিন. চরিত্র সুন্দর হওয়া ও করা
সুন্দর চরিত্রের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) অশ্লীলভাষী ও অসদাচরণের অধিকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন, নিশ্চয়ই তোমাদের সর্বোত্তম ব্যক্তি সে যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৫৫৯)
চার. মীমাংসার মিটিয়ে নেওয়া
আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলিমের পক্ষে তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি এমনভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করে থাকা বৈধ নয় যে তাদের দুইজনের দেখা-সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে আরেকজন অন্যদিকে চেহারা ঘুরিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে উত্তম ওই ব্যক্তি, যে প্রথম সালাম করবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬২৩৭)
আরও পড়ুন : অমুসলিমদের সঙ্গে যেমন আচরণ করতেন নবীজি
পাঁচ. পরিবারের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের কাছে উত্তম।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৯৫)
এ ছাড়া হাদিসে আরো বহুসংখ্যক আমলের ব্যাপারে খায়ের তথা কল্যাণকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন, আল্লাহ তাআতা আমাদের সেগুলোর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আতাউর রহমান খসরু।। সাংবাদিক, মাদরাসা-শিক্ষক ও গবেষক