যে আমলের সওয়াব লাভে প্রতিযোগিতা করতে বলেছেন নবীজি
মুমিনের প্রতিটি আমল গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পদক্ষেপ ও নেক কাজে বিপুল সওয়াব। তাই মুমিনমাত্রই নেক কাজে অগ্রসরমান। ছোট-বড় কোনো ধরনের নেক কাজ ও আমলের সুযোগ মুমিন হাতছাড়া করেন না। প্রতিটি আমল, ইবাদত ও বন্দেগির সওয়াব লুফে নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রতিনিয়ত।
সব ধরনের আমলে নিজেকে সম্পৃক্ত করা মুমিনের কাজ। কিন্তু কিছু আমল আছে, যেগুলোর সওয়াব অর্জনে প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন যে, মানুষ এসব আমলের সওয়াব জানলে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় মেতে উঠত। রাসুল (সা.)-এর বাতলানো ও প্রতিযোগিতায় উৎসাহব্যঞ্জক এমন চারটি আমলের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক. আজান দেওয়ার সওয়াব ও ফজিলত
অর্থাৎ, আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লোকেরা যদি জানত যে, আজান দেওয়া ও নামাজের প্রথম সারিতে দাঁড়ানোর কী মাহাত্ম্য আছে, অতঃপর (তাতে অংশগ্রহণের জন্য) যদি লটারি ব্যতিরেকে অন্য কোন উপায় না পেত, তবে তারা অবশ্যই সে ক্ষেত্রে লটারির সাহায্য নিত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০০৯)
আরও পড়ুন : যে দোয়ায় আমলের পাল্লা ভারী হবে
দুই. প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ের সওয়াব ও নেকি
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি লোকেরা জানত যে আজান ও প্রথম কাতারে সালাত আদায়ে কী নেকি আছে— তাহলে তারা পরস্পর প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপভাবে যদি তারা জানত এশা ও ফজরের সালাতে কী নেকি রয়েছে, তবে তারা হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও ওই দুই সালাতে আসত।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৫)
তিন. আগে-ভাগে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব
মসজিদে আগে যাওয়া ও প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ের প্রতি আগ্রহী থাকা সওয়াবের কাজ। এ কাজে উম্মতকে উদ্বুদ্ধ করে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যদি মানুষ জানতে পারত, আজান এবং প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ের মধ্যে কী ফজিলত— আর তা লটারি ব্যতীত অর্জন করা সম্ভব না হতো, তবে তার জন্য লোকেরা অবশ্যই লটারি করত। আর যদি জানতে পারত, মসজিদে আগে আসার মধ্যে কি ফজিলত, তাহলে তার জন্য প্রতিযোগিতা করে আসত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৫)
আরও পড়ুন : যে ২০ আমলে অনেক সওয়াব
চার. ফজর ও এশার নামাজ জামাতে পড়ার সওয়াব
রাতের এ দুই নামাজের সময় মানুষ সাধারণত ব্যস্ত থাকে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে। ফলে জামাত দুটিতে যথেষ্ট অবহেলা হয়। গাফিলতি ও প্রকাশ পেয়ে থাকে। এ জন্য হাদিসে এর প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬)