তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময়
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার বা আদায়ের সময় কখন- কেউ কেউ তা জানতে চান। এশার নামাজ আদায়ের পর থেকে তাহাজ্জুদের সময় শুরু হয় এবং রাতের শেষ ভাগ পর্যন্ত সময় থাকে। তবে তাহাজ্জুদ আদায়ের সর্বোত্তম সময় হলো- রাতের শেষ অংশ। অথবা ফজরের নিকটবর্তী সময়, যে সময়টা রাতের এক তৃতীয়াংশ।
শেষ রাতে বিতর-তাহাজ্জুদ
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন—
‘যে রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদ আদায়ের ব্যাপারে আশঙ্কা করে, সে যেন রাতের প্রথম ভাগে বিতর নামাজ পড়ে নেয়। আর যে শেষ ভাগে জেগে নামাজ আদায়ে আশা রাখে, সে যেন রাতের শেষ অংশে বিতর আদায় করে। কেননা, রাতের শেষ ভাগে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে সাক্ষ্য রয়েছে এবং এটি সর্বোত্তম।’
(মুসলিম, হাদিস : ৭৫৫)
এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায়, তাহাজ্জুদ আদায়ের সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষ অংশ। তবে যার আশঙ্কা হয় যে, রাতের শেষ ভাগে জেগে তাহাজ্জুদ আদায় সম্ভব নয়; তার জন্য শুরুর ভাগে তাহাজ্জুদ আদায় করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আল্লাহর নৈকট্য লাভ
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন—
প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে আগমন করেন, এরপর বলেন- কে আছে আমার কাছে দোয়া করবে আর আমি তার দোয়া কবুল করবো? কে আছে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো? কে আছে আমার কাছে কোনো কিছু চাইবে আর আমি তাকে তা দেবো?
(মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১৪/৪৬)
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় সুন্নত
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা হলো- সিয়ামে দাউদ, তিনি একদিন রোজা রাখতেন, আরেকদিন রোজা রাখতেন না। তিনি রাতের অর্ধেক ঘুমাতেন এবং এক তৃতীয়াংশ নামাজ আদায় করতেন। এরপর ছষ্ঠাংশ আবার ঘুমাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪২০)