যার মাধ্যমে কোরবানির পশু জবাই করা উত্তম
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই কোরবানির কিছু আলাদা মাসআলা রয়েছে। যেগুলো জেনে রাখা আবশ্যক।
কোরবানির পশু জবাই কে করবে?
কোরবানিদাতা নিজেই কোরাবানির পশু জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে, অন্যকে দিয়েও জবাই করালেও হবে। এ ক্ষেত্রে কোরবানিদাতা পুরুষ হলে, জবাইর স্থানে উপস্থিত থাকা উচিত। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২৬৫৭; বাদায়িউস সানায়ি : ৪/২২২-২২৩)
কোনো কারণে জবাইকারী জবাই শেষ না করে— অন্য কারও সহযোগিতা নিলে, উভয়কেই নিজ নিজ জবাইয়ের আগে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে, তাহলে ওই কোরবানি শুদ্ধ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৩৪)
কোরবানির পশুতে কতজন শরিক হতে পারবে?
একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কোরবানি করলে কারও কোরবানি হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের অধিক শরিক হলে কারও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৩১৮; মুয়াত্তা মালিক, হাদিস : ১/৩১৯; ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৯; বাদায়িউস সানায়ি : ৪/২০৭-২০৮)
এসব প্রাণীর মধ্যে সাত ভাগেই কোরবানি করা জরুরি নয়, সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন—দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করাও জায়েজ। (মুসলিম, হাদিস : ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭)
শরিকে কোরবানি করলে— সবার অংশ সমান হতে হবে। কারও অংশ প্রাপ্যাংশের কম হতে পারবে না। যেমন—কারো আধাভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানিই শুদ্ধ হবে না। (বাদায়িউস সানায়ি : ৪/২০৭)
দরিদ্র ব্যক্তি কোরবানি করলে কি আদায় হবে?
দরিদ্র ব্যক্তির (যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয়) ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কোরবানির নিয়তে কোনো পশু কেনে, তাহলে তা কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যায়। (বাদায়িউস সানায়ি : ৪/১৯২)