হজের খুতবা অনুবাদ হবে বাংলাসহ ১০ ভাষায়
প্রতি বছর হজের খুতবা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। গত বছর প্রথম বাংলায় অনুবাদ শুরু হয়েছিল। গত বছরের মতো এবছরও আরাফার দিনের খুতবা সরাসরি বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
শনিবার (০৩ জুলাই) সৌদি গেজেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।
খুতবা অনুবাদের অভিনব উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা বিভাগের প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস জানিয়েছেন, ইসলামের সুমহান বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ। আগে প্রতি বছর সরাসরি পাঁচটি ভাষায় খুতবা অনুবাদ করা হতো। তবে গত বছর থেকে আরও পাঁচটি ভাষা যুক্ত করা হয়েছে।
গত বছরের মতো এ বছরও বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, ফার্সি, মালাই, ফ্রেঞ্চ, চাইনিজ, তার্কিশ, রুশ ও হাউসা ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে। জানা গেছে, অনুবাদ কার্যক্রম পরিচালনায় এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রকল্প। সৌদি সরকার ও হারামাইন শরিফাইনের তত্ত্বাবধানে তা পরিচালিত হবে।
উল্লেখ্য, আরাফার দিন (০৯ জিলহজ) হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিন আরাফার বিস্তৃত প্রাঙ্গণে হাজিদের উদ্দেশ্যে একজন ইমাম খুতবাহ পাঠ করেন। প্রতি বছর সৌদি বাদশাহর রাজকীয় ফরমানে হজের খতিব নির্ধারণ করা হয়। তিনি আরাফাতের ময়দানসংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা শুরু দিয়ে থাকেন।
হজের খুতবা প্রদান করেন মনোযোগ দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। খুতবা শেষে জোহরের আজান হয়। একই আজানে দুই ইকামতে জোহর ও আসরের কসর (দুই রাকাত করে) নামাজ আদায় করতে হয়।
আরাফার ময়দানে উপস্থিত সফেদ-শুভ্র কাপড়ের ইহরাম পরিহিত হাজীদের সামনে দেওয়া হজের খুতবা বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ খুতবা যেমন সমবেত হাজীরা শোনেন, তেমনি বিশ্বের আনাচে-কানাচের অগণিত মানুষও শোনেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে এবারও শুধু সৌদি আরবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের অধিবাসী ও দেশটির নাগরিকদের সমন্বয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক হাজিদের হজ করার সুযোগ দেবে সৌদি সরকার। অন্যথায় প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ হজ পালন করেন।
এর আগে ২০১২ সালে ৩১ লাখ এক হাজার হজযাত্রী পবিত্র হজ আদায় করেছেন। হজের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক হজ আদায়ের রেকর্ড এটি। হজ-নিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা গেছে।