হজ ফরজ হলেই যা করতে হবে
হজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। ইসলামের অন্যতম মৌলিক বিধানও বটে। সারাটা জীবন অনেকে হজ করতে পারার জন্য দোয়া করেন। আল্লাহার কাছে তাওফিক চান। কারও কপালে হজ জুটে, আর কারও ভাগ্যলিপিতে হজ থাকে না।
মূলত যে বছর হজ ফরজ হয়, ওই বছরই আদায় করে নেওয়া উচিত। অহেতুক কারণে হজ আদায়ে বিলম্ব করা বড় গুনাহ। একবার হজ ফরজ হলে— তা আর কখনো মাফ হয় না। (আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড : ০৪, পৃষ্ঠা : ৫২৮)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজের ইচ্ছে করে, সে যেন তা দ্রুত আদায় করে নেয়। কেননা মানুষ কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ে, কখনো সম্পদ খরচ হয়ে যায়; কখনো সমস্যার সম্মুখীন হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২০৭)
হজে যাওয়ার আগে অন্যের অধিকার
হজে যাওয়ার আগে বেশি কিছু করণীয় আছে। তবে প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর করণীয় হলো— মানুষের অধিকারের প্রতি যত্নবান হওয়া। ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করে দেওয়া। ইবাদতে কোনো ত্রুটি থাকলে তা শুধরে নেওয়া। তাওবা-ইস্তিগফার করা।
এছাড়াও হজের জন্য এমন সফরসঙ্গী নির্বাচন করা— যিনি দ্বীনদার ও সহযোগিতাকারী। পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির করা। হজের মাসআলা-মাসায়েল শেখা। (ফাতাওয়া আলমগিরি, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ২২০)
নিয়ত হতে হবে বিশুদ্ধ
হজে যাওয়ার আগে কিংবা যাওয়ার সময় অবশ্যই নিয়ত বিশুদ্ধ করে নিতে হবে। মহান আল্লাহর হুকুম পালনার্থে তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ করছি— এমন নিয়ত করতে হবে।
লোকজন হাজি সাহেব বলবে, সম্মান দেখাবে কিংবা সুনাম-প্রসিদ্ধি অর্জন হবে অথবা ব্যবসা ভালো জমবে; নির্বাচনে ভালো করা যাবে— এ ধরনের মনোভাব নিয়ে হজ করলে সাওয়াব তো হবেই না; বরং লৌকিকতার কারণে গুনাহ হবে। (মুসলিম, হাদিস নং: ১৯০৫)
যাবতীয় খরচ হালাল হতেই হবে
হজের সার্বিক কাজে যেসব টাকা খরচ করা হবে, তা অবশ্যই হালাল হতে হবে। হজের মধ্যে হারাম টাকা খরচ করাও হারাম। যে হজে হারাম টাকা খরচ করা হয়, সে হজ কবুল হয় না। (রাদ্দুল মুহতার, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৫১৯)
আল্লাহ তাআলা আমাদের হালাল অর্থে সঠিকভাবে হজ করার তাওফিক দান করুন।