ব্যবহৃত টিস্যু আবার ব্যবহার করা যাবে?

ইস্তিঞ্জার পর পবিত্রতা অর্জন করা ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। এ থেকে পবিত্র না হলে মৌলিক ইবাদত করা সম্ভব হয় না। এসব বিষয়ে গড়িমসি করা ব্যক্তিদের নোংরা ও অসামাজিক বলে গণ্য করা হয়। প্রস্রাব শেষে হাদিসে ঢিলা (টিস্যু) ও পানি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য পিতার মতো। আমি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকি। তোমরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে কেবলাকে সামনে বা পেছনে দিয়ে বসবে না। ডান হাত দিয়ে শৌচকার্য সম্পাদন করবে না।’ তিনি তিনটি ঢিলা ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড্ডি দ্বারা ঢিলা করা থেকে বারণ করতেন। -(আবু দাউদ, হাদিস : ০৭)
আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রহ. বলেন, সালমান ফারসী রা.-কে বলা হল, তোমাদের নবী তোমাদের সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন; এমনকি শৌচাগার ব্যবহারের পদ্ধতিও! সালমান রা. বললেন, ‘হাঁ, অবশ্যই! তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, আমরা যেন ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি, ইস্তিঞ্জার সময় তিন পাথরের কম ব্যবহার না করি এবং গোবর বা হাড্ডি দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬২)
টয়লেটের পর ঠিকঠাক পবিত্রতা অর্জনকারীদের প্রশংসা করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ
তাতে (কুবায়) এমন লোক আছে, যারা অধিকতর পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ তায়ালা অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। -(সূরা তাওবা, আয়াত, ১০৮)
আরও পড়ুন
টয়লের পর ব্যবহৃত টিস্যু বা ঢিলা নাপাক এবং অপবিত্র বস্তু। আর নাপাক এবং অপবিত্র বস্তুর মাধ্যমে ইস্তেঞ্জা করা জায়েজ নয়। তাই ব্যবহৃত ঢিলা যেহেতু নাপাক তাই এটি পুনরায় ব্যবহার করবে না।
عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَسْتَنْجِيَ بِالْحَجَرِ الَّذِي قَدَ اسْتُنْجِيَ بِهِ
মুজাহিদ রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, যে পাথরের মাধ্যমে একবার ইস্তেঞ্জা করা হয়েছে তার মাধ্যমে পুনরায় ইস্তেঞ্জা করা তিনি ঠিক মনে করতেন না। তাই একবার ব্যবহার করা হয়েছে এমন টিস্যু আবারো ব্যবহার করা যাবে না।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, বর্ণনা ১৬৬৬, আল কাউসার, -আলমুহীতুল বুরহানী ১/৪৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫০)