অজুর সুন্নত কী কী?
অজু পবিত্রতার মাধ্যম। অজুর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়। নামাজ আদায়েরও প্রধান মাধ্যম অজু। অজু না থাকলে নামাজ হয় না। তাই নামাজের জন্য অজু আবশ্যক। অজু যখন রাসুল (সা.)-এর সুন্নত পদ্ধতিতে হবে, তখন সওয়াব বহু গুণ বেড়ে যাবে।
অজুতে নিম্নোল্লিখিত বিষয়গুলো সুন্নত। এগুলোর ওপর নিয়মিত আমল করা উচিত। এগুলোর মাধ্যমে অজু সুন্দর। অজুর আমলগুলো পূর্ণতা লাভ করে।
এক. অজুর শুরুতে নিয়ত করা। (বুখারি, হাদিস : ০১) দুই. বিসমিল্লাহ পড়া। (আবু দাউদ, হাদিস : ৯২) তিন. উভয় হাতকে কবজি পর্যন্ত ধৌত করা। (মুসলিম, হাদিস : ৩৩১, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৬২২৫)
চার. মিসওয়াক করা। (সুনানে কুবরা, হাদিস : ১৮১, আবু দাউদ, হাদিস : ৪২) পাঁচ. কুলি করা। (মুসলিম, হাদিস : ৩৩১) ছয়. নাকে পানি দেওয়া। (মুসলিম, হাদিস : ৩৩১) সাত. যদি রোজাদার না হয়, তাহলে ভালোভাবে কুলি করা এবং নাকে পানি দেওয়া। (তিরমিজি, হাদিস : ৭১৮, আবু দাউদ ১২৩)
আরও পড়ুন : অজু শেষে যে দোয়া পড়লে জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে যায়
আট. প্রতিটি অঙ্গ তিনবার করে ধোয়া। (মুসলিম, হাদিস : ৩৩১) নয়. দাড়ি খিলাল করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৩) দশ. আঙুল খিলাল করা। (তিরমিজি, হাদিস : ৭১৮)
এগার. পুরো মাথা মাসেহ করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৯৭) বারো. উভয় কানের ভেতরে ও বাইরে মাসেহ করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১১৬) তের. মাথার সামনের অংশ থেকে মাসেহ শুরু করা। (মুসলিম, হাদিস : ৩৪৬) চৌদ্দ. গর্দান মাসেহ করা। (কানজুল উম্মাল ২৬১৪২; শরহে ইহয়া লিজজুবাইদি : ২/৩৬৫, আততালখিসুল হাবির : ১/২৮৮)
পনের. ধোয়ার সময় অঙ্গগুলোকে মেজে-ঘষে ধোয়া। (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৭) ষোল. প্রথম অঙ্গ শুকানোর আগেই পরের অঙ্গ ধৌত করা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩৭, দারাকুতনি ৩৯২, আততালখিসুল হাবির : ১/২৯০) সতের. অঙ্গগুলো ধোয়ার সময় তারতিব তথা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। অর্থাৎ প্রথমে মুখমণ্ডল, তারপর হাত ধোয়া, এরপর মাথা মাসেহ করা এবং পা ধোয়া। (সুরা মায়েদা, হাদিস : ০৬)
আঠার. বাঁ হাত দ্বারা প্রথমে ডান হাত ধৌত করা এবং বাঁ হাত দ্বারা প্রথমে ডান পা ধোয়া। (নাসায়ি, হাদিস : ১১১)