পিরিয়ড হলে শবে কদরে ইবাদত করবেন কীভাবে?

পূণ্যময় রাত শবে কদর। এই রাত হাজার মাসের থেকে উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদতের সুযোগ পেল তার থেকে সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে বা ভাগ্য রজনীতে নামাজ আদায় করবে তার পূর্বের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৬০)
বিজ্ঞাপন
রমজানের শেষ দশক ও শবে কদরের ফজিলত পেতে রাসূল সা. এই দশকের পুরোটা সময় ইবাদতে কাটাতেন। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত, শেষ দশক প্রবেশ করলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমর বেঁধে নামতেন। তিনি নিজে রাত জাগতেন এবং তাঁর পরিবারবর্গকে জাগিয়ে দিতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০২৪, সহিহ মুসলিম, হাদিস :১১৭৪)
শবে কদরের ফজিলত নারী-পুরুষ সবার জন্য সমান। কোনো নারীর পিরিয়ড হলে তিনি এ রাতের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবে না। তিনি কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ এবং কাবা শরিফ তাওয়াফ করা ছাড়া বাকি সব ইবাদত করতে পারবেন। যেমন, জিকির-আজকার করা, দোয়া-দরুদ পড়া ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
ঋতুবতী নারীরা শবে কদরে যেভাবে ইবাদত করতে পারেন—
বিজ্ঞাপন
জিকির-আজকার করা
ঋতুবতী নারীরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে জিকির করতে পারেন। যেমন— সুবহানাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ ইত্যাদি পাঠ করা।
সুতরাং যে নারীর পিরিয়ড শুরু হয়েছে তিনি বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল আযিম ইত্যাদি পাঠ করতে পারেন।
ইস্তিগফার পাঠ করা
রমজানের শেষ দশকে কোনো নারীর পিরিয়ড শুরু হলে তিনি বেশি বেশি ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’(আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) পাঠ করতে পারেন।
আল্লাহর কাছে দোয়া করা
নারীরা এই রাতে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি করে দোয়া করতে পারেন এবং তাঁর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করতে পারেন। দোয়া হল সর্বোত্তম ইবাদতগুলোর অন্যতম।
দোয়া এতো বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া ইল ইবাদত। (জামে তিরমিজি, হাদিস :২৮৯৫)