সাহাবি আবু দারদা (রা.) যেভাবে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন

হজরত আবু দারদা (রা.) নির্জনতা পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন, একজন মুসলমানের জন্য সবচেয়ে ভালো ইবাদতগাহ তার বাড়ি। সেখানে তার নফস, চোখ ও লজ্জাস্থান সর্বাধিক সংযত থাকে। তিনি আরও বলতেন, তোমরা বাজারের মজলিস থেকে দূরে থাকো। কারণ, এসব মসলিস তোমাদের খেলা ও হাসি-তামাশার দিকে নিয়ে যায়।
তিনি সবসময় চুপচাপ থাকতে এবং চিন্তা ও অনুধ্যানে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। আউন ইবনে আব্দুল্লাহ একবার উম্মু দারদাকে প্রশ্ন করলেন, আবু দারদার সর্বোত্তম আমল কী ছিল? তিনি বললেন, গভীর চিন্তা ও অনুধ্যান। আবু দারদা আরও বলতেন, এক ঘণ্টা চিন্তা করা সারারাত ইবাদত অপেক্ষা উত্তম।
তিনি আরও বলতেন, তোমরা যেমন কথা বলা শেখো, তেমনি চুপ থাকাও শেখ। কারণ, চুপ থাকা বিরাট সহনশীলতা। বলার চেয়ে শোনার প্রতি আগ্রহী হও। অহেতুক কোনো কথা বলো না।
আরও পড়ুন
তিনি সবসময় হাসি মুখে থাকতেন এবং মানুষের সাথে খোশ-মেজাজে মিশতেন। কথা বলার সময় ঠোঁটে হাসি ঝরতো। তাঁর এ হাসিকে স্ত্রী উম্মু দারদা মর্যাদার পরিপন্থী মনে করতেন। একদিন তিনি স্বামীকে বলে ফেললেন, এই আপনি প্রতি কথায় মুচকি হাসি দেন, এতে মানুষ আপনাকে নির্বোধ মনে করে না!। আবু দারদা বললেন, রাসূল সা. তো কথা বলার সময় মৃদু হাসতেন।
তোমরা যেমন কথা বলা শেখো, তেমনি চুপ থাকাও শেখ। কারণ, চুপ থাকা বিরাট সহনশীলতা। বলার চেয়ে শোনার প্রতি আগ্রহী হও। অহেতুক কোনো কথা বলো না।
তাঁর স্বভাব ছিল সরল ও অনাড়ম্বর। দামেস্কের মসজিদ চত্বরে নিজ হাতে গাছ লাগাতেন। রাসূল সা.-এর সাহাবি ও মসজিদের হালকার দরসের ইমাম হয়েও তাঁকে নিজ হাতে এতো ছোট ছোট কাজ করতে দেখে মানুষ অবাক হয়ে যেতো। একবার একজন বিস্ময়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি নিজ হাতেই এমন কাজ করেন? বিস্ময়ের জবাবে তিনি বললেন, এতে খুব সওয়াব।
(আসহাবে রাসূলের জীবনকথা, ৩/২১৮)