সবার শেষে জান্নাতে যাবে কে?
জান্নাত এমন অনিন্দ্য-সুন্দর আবাস— যা কোনো চোখ দেখেনি। কোনো কান শোনেনি এবং কোনো অন্তর তা সম্পর্কে কল্পনাও করতে পারেনি। আল্লাহ তাআলা অশেষ-অফুরান নেয়ামত রেখেছেন সেখানে। জান্নাতে যে যাবে— সে জান্নাত থেকে কখনো বের হবে না। চিরকাল জান্নাতই হবে তার ঠিকানা ও আলোয়।
জান্নাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন- ‘পক্ষান্তরে মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) লোকেরা থাকবে— বাগান ও ঝরনার পাদদেশে। এবং তাদেরকে বলা হবে এখানে তোমরা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে প্রবেশ করো। তাদের মনে যে সামান্য পরিমাণ মনোমালিন্য থাকে তা আমি বের করে দেবো। তারা পরস্পর ভাই-ভাইয়ে মিলিত হয়ে মুখোমুখি হয়ে বসবে। সেখানে তাদের পরিশ্রমও করতে হবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।’ (সুরা আল-হিজর, আয়াত : ৪৫-৪৮)
সর্বশেষে জান্নাতে কে যাবে?
কিছু লোক তাদের পাপের শাস্তি হিসেবে জাহান্নামে যাবে। তারা সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। বরং জাহান্নাম হয়ে জান্নাতে যাবে। তাদের মধ্য থেকে সর্বশেষ যে ব্যক্তি চিরসুখের আধার জান্নাতে প্রবেশ করবে— তার সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে বর্ণনা রয়েছে।
আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই চিনি— জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভকারী সর্বশেষ জাহান্নামী ও জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ জান্নাতিকে। জনৈক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম থেকে বের হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ করো। সে জান্নাতে আসবে, তাকে ধারণা দেওয়া হবে (বলা হবে) জান্নাত পরিপূর্ণ। সে ফিরে এসে বলবে, হে আমার রব! আমি তা পূর্ণ পেয়েছি।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ করো। তিনি বলেন, সে জান্নাতে আসবে— তাকে ধারণা দেওয়া হবে যে, জান্নাত পূর্ণ। সে ফিরে এসে বলবে, হে আমার রব! আমি তা পূর্ণ পেয়েছি। অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ করো। তোমার জন্য দুনিয়ার সমান ও তার দশগুণ জান্নাত রয়েছে অথবা তোমার জন্য দুনিয়ার দশগুণ জান্নাত রয়েছে।
তিনি বলেন, সে বলবে, হে আমার রব! আপনি আমার সঙ্গে মশকরা করছেন অথবা আমাকে নিয়ে হাসছেন অথচ আপনি রাজাধিরাজ?” বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে তখন হাসতে দেখেছি, তার মাড়ির দাঁত পর্যন্ত বের হয়েছিল। তিনি বলেন, তখন বলা হতো— এ হচ্ছে মর্যাদার বিবেচনায় সবচেয়ে নিম্ন জান্নাত।’ (বুখারি, হাদিসে কুদসি : ৫৪)
ইব্ন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশ করবে এমন ব্যক্তি— যে একবার চলবে, একবার হোঁচট খাবে; একবার আগুন তাকে ঝলসে দেবে। যখন সে তা অতিক্রম করবে তার দিকে ফিরে তাকাবে। অতঃপর বলবে- বরকতময় সে সত্তা! যিনি আমাকে তোমার থেকে নাজাত দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে এমন বস্তু দান করেছেন— যা পূর্বাপর কাউকে দান করেননি।
অতঃপর তার জন্য একটি গাছ প্রকাশ করা হবে, সে বলবে, ‘হে আমার রব! আমাকে এ গাছের নিকটবর্তী করুন, যেন তার ছায়া গ্রহণ করতে পারি ও তার পানি পান করতে পারি। আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে আদম সন্তান! যদি আমি তোমাকে এটা দান করি— হয়তো (আবারও) অন্য কিছু তলব করবে। সে বলবে- না, হে আমার রব।
এসময় সে ওয়াদা দেবে যে, এ ছাড়া কিছু তলব করবে না। তখন আল্লাহ তাকে ছাড় দেবেন, কারণ সে এমন কিছু দেখবে যার ওপর তার ধৈর্যধারণ করা সম্ভব হবে না। তাকে তার নিকটবর্তী করবেন, ফলে সে তার ছায়া গ্রহণ করবে ও তার পানি পান করবে। অতঃপর তার জন্য অপর গাছ প্রকাশ করা হবে, যা পূর্বের তুলনায় অধিক সুন্দর। সে বলবে- হে আমার রব, আমাকে এর নিকটবর্তী করুন, যেন তার পানি পান করতে পারি ও তার ছায়া গ্রহণ করতে পারি, এ ছাড়া কিছু চাইব না।
তিনি বলবেন, হে আদমসন্তান তুমি কি আমাকে ওয়াদা দাওনি অন্য কিছু চাইবে না? সে বলবে, আমি যদি তোমাকে এর নিকটবর্তী করি হয়তো (আবারও) অন্য কিছু চাইবে। ফলে সে তাকে ওয়াদা দেবে যে, অন্য কিছু চাইবে না, তার রব তাকে ছাড় দেবেন। কারণ সে এমন কিছু দেখবে যার ওপর তার ধৈর্য নেই। অতঃপর তাকে তার নিকটবর্তী করবেন, সে তার ছায়া গ্রহণ করবে ও তার পানি পান করবে।
অতঃপর তার সামনে প্রকাশ করা হবে একটি গাছ জান্নাতের দরজার মুখে, যা পূর্বের দুইটি গাছ থেকে অধিক সুন্দর। সে বলবে- হে আমার রব! আমাকে এ গাছের নিকটবর্তী করুন। আমি তার ছায়া গ্রহণ করব ও তার পানি পান করব। এছাড়া কিছু চাইব না। তিনি বলবেন, হে আদমসন্তান তুমি কি আমাকে ওয়াদা দাওনি অন্য কিছু চাইবে না? সে বলবে- অবশ্যই হে আমার রব, এটাই চাই; আর কিছু চাইব না, তার রব তাকে ছাড় দেবেন। কারণ সে দেখবে— যার ওপর তার ধৈর্য নেই। অতঃপর তিনি তাকে তার নিকটবর্তী করবেন, যখন তার নিকটবর্তী করা হবে— সে জান্নাতিদের আওয়াজ শুনবে। সে বলবে- হে আমার রব, আমাকে তাতে প্রবেশ করান। তিনি বলবেন, হে বনি আদম, কীসে তোমার থেকে আমাকে নিষ্কৃতি দেবে? তুমি কি সন্তুষ্ট যে আমি তোমাকে দুনিয়া ও তার সাথে তার সমান দান করি? সে বলবে- হে আমার রব! আপনি কি আমার সাথে ঠাট্টা করছেন অথচ আপনি উভয় জাহানের রব?
ইব্ন মাসউদ হেসে দিয়ে বলেন, তোমরা আমাকে কেন জিজ্ঞাসা করছ না আমি কেন হাসছি? তারা বলল- কেন হাসছেন? তিনি বললেন- রাসুল (সা.) এরূপ হেসেছেন। তখন তারা (সাহাবিরা) বলল, হে আল্লাহর রাসূল কেন হাসছেন? তিনি বললেন, আল্লাহর হাসি থেকে যখন সে বলল, আপনি আমার সাথে ঠাট্টা করছেন অথচ আপনি উভয় জাহানের রব? তিনি বললেন, আমি তোমার সঙ্গে ঠাট্টা করছি না, তবে আমি যা চাই— করতে পারি। (মুসলিম, হাদিস : হাদিসে কুদসি : ৫৫)
সর্বশেষ জান্নাতি; যে ব্যক্তি সর্বশেষ জান্নাতে যাবে
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে, লোকেরা বলল- হে আল্লাহর রাসুল কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের রবকে দেখব? রাসুল (সা.) বললেন, ‘চৌদ্দ তারিখের রাতে চাঁদ দেখায় তোমরা কি সন্দেহ (বা মতবিরোধ) কর?’ তারা বলল- না, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, ‘তোমরা আল্লাহকে সেভাবে (স্পষ্ট) দেখবে।’ কিয়ামতের দিন আল্লাহ সকল মানুষকে জমা করে বলবেন— যে যে বস্তুর ইবাদত করত; সে যেন সেটার পিছু নেয়। ফলে যে সূর্যের ইবাদত করত— সে সূর্যের অনুগামী হবে। যে চাঁদের ইবাদত করত, সে চাঁদের অনুগামী হবে। যে তাগুতের ইবাদত করত, সে তাগুতের অনুগামী হবে। শুধু এ উম্মত অবশিষ্ট থাকবে, তাতে থাকবে তার সুপারিশকারীগণ- অথবা তার মুনাফিকরা (বর্ণনাকারী ইবরাহিম সন্দেহ পোষণ করেছেন)।
অতঃপর তাদের নিকট আল্লাহ এসে বলবেন, আমি তোমাদের রব। তারা বলবে, আমরা এখানে অবস্থান করছি— যতক্ষণ না আমাদের রব আমাদের নিকট আসেন। যখন আমাদের রব আসবেন, আমরা তাকে চিনব। ফলে আল্লাহ সে রূপে তাদের নিকট আসবেন যে রূপে তারা তাকে চিনে।
অতঃপর তিনি বলবেন, আমি তোমাদের রব। তারা বলবে- আপনি আমাদের রব। অতঃপর তারা তার অনুগামী হবে। আর জাহান্নামের পৃষ্ঠদেশে পুলসিরাত কায়েম করা হবে। আমি ও আমার উম্মত সর্বপ্রথম তা অতিক্রম করব। সেদিন রাসুলগণ ব্যতীত কেউ কথা বলবে না। সেদিন রাসুলগণের বাণী হবে- আল্লাহুম্মা সাল্লিম, সাল্লিম।
জাহান্নামে রয়েছে সা’দানের কাঁটার ন্যায় হুক, তোমরা সা’দান দেখেছ?” তারা বলল: হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, “তা (পুলসিরাত) সা’দানের কাঁটার ন্যায়। তবে তার বিশালত্বের পরিমাণ আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। সে মানুষদেরকে তাদের আমল অনুযায়ী ছোঁ মেরে নিয়ে নেবে। তাদের কেউ ধ্বংসপ্রাপ্ত নিজ আমলের কারণে (জাহান্নামের শুরুতে) রয়ে গেছে। তাদের কেউ টুকরো হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত অথবা সাজাপ্রাপ্ত অথবা তার অনুরূপ।
অতঃপর তিনি প্রকাশ হবেন, অবশেষে যখন বান্দাদের ফয়সালা থেকে ফারেগ হবেন ও জাহান্নামীদের থেকে নিজ রহমতে যাকে ইচ্ছা বের করার ইচ্ছা করবেন। ফেরেশতাদের নির্দেশ দেবেন যে, জাহান্নাম থেকে বের করো আল্লাহর সাথে যে কোনো বস্তু শরিক করত না। যাদের ওপর আল্লাহ রহম করার ইচ্ছা করেছেন এবং যারা সাক্ষী দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই।
তারা সিজদার আলামতের মাধ্যমে জাহান্নামে তাদের চিনবে। আগুন বনি আদমকে সিজদার জায়গা ব্যতীত খেয়ে ফেলবে। সিজদার জায়গা ভক্ষণ করা জাহান্নামের ওপর আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন। তারা জাহান্নাম থেকে বের হবে— এমতাবস্থায় যে, পুড়ে গেছে। তাদের ওপর সঞ্জীবনী পানি ঢালা হবে। ফলে তারা গজিয়ে উঠবে— যেমন গজিয়ে উঠে প্রবাহিত পানির সাথে আসা উর্বর মাটিতে শস্যের চারা।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা বান্দাদের ফয়সালা থেকে ফারেগ হবেন। অবশেষে শুধু এক ব্যক্তি জাহান্নামের ওপর তার চেহারা দিয়ে অগ্রসর হয়ে থাকবে। সেই জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ জাহান্নামী। সে বলবে- হে আমার রব, আমার চেহারা জাহান্নাম থেকে ঘুরিয়ে দিন। কারণ সে আমার চেহারা বিষাক্ত করে দিয়েছে। তার লেলিহান আমাকে জ্বালিয়ে দিয়েছে।
অতঃপর সে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে, আল্লাহ যেভাবে তার দোয়া করা পছন্দ করেন। অতঃপর আল্লাহ বলবেন- এমন হবে না তো যদি তোমাকে তা দান করি— তুমি আমার নিকট অন্য কিছু চাইবে? সে বলবে- না, তোমার ইজ্জতের কসম। এ ছাড়া আপনার নিকট কিছু চাইব না।
সে তার রবকে যা ইচ্ছা ওয়াদা ও অঙ্গিকার দেবে। ফলে আল্লাহ তার চেহারা জাহান্নাম থেকে ঘুরিয়ে দেবেন। অতঃপর সে যখন জান্নাতের দিকে মুখ করবে ও তা দেখবে, চুপ থাকবে— আল্লাহ যতক্ষণ তার চুপ থাকা চান। অতঃপর বলবে, হে আমার রব আমাকে জান্নাতের দরজার পর্যন্ত অগ্রসর করুন।
আল্লাহ তাকে বলবেন, তুমি কি আমাকে তোমার ওয়াদা ও অঙ্গিকার দাওনি যে, আমি তোমাকে যা দিয়েছি তা ছাড়া অন্য কিছু আমার নিকট কখনো চাইবে না? হে বনি আদম সর্বনাশ তোমার, তুমি খুব ওয়াদা ভঙ্গকারী। সে হে আমার রব বলবে, পাশাপাশি আল্লাহকে ডাকবে। অবশেষে আল্লাহ বলবেন, এমন হবে না তো যদি তা দেই অপর বস্তু তুমি চাইবে? সে বলবে- না, তোমার ইজ্জতের কসম তা ছাড়া কিছু চাইব না। এবং যত ইচ্ছা ওয়াদা ও অঙ্গিকার প্রদান করবে। ফলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের দরজার নিকটবর্তী করবেন।
যখন সে জান্নাতের দরজার নিকট দাঁড়াবে, তার জন্য জান্নাত উন্মুক্ত হবে। সে তার নিয়ামত ও আনন্দ দেখবে। অতঃপর চুপ থাকবে— আল্লাহ যতক্ষণ তার চুপ থাকা চান। এরপর বলবে- হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আল্লাহ বলবেন- তুমি কি ওয়াদা ও অঙ্গিকার দাওনি আমি যা দিয়েছি তা ছাড়া কিছু চাইবে না? তিনি বলবেন, হে বনি আদম সর্বনাশ তোমার। তুমি অতি ওয়াদা ভঙ্গকারী। সে বলবে- হে আমার রব! আমি তোমার হতভাগা মখলুক হতে চাই না। সে ডাকতে থাকবে, অবশেষে তার কারণে আল্লাহ হাসবেন। যখন হাসবেন তখন তাকে বলবেন, জান্নাতে প্রবেশ করো। যখন সে তাতে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাকে বলবেন- চাও, সে চাইবে ও প্রার্থনা করবে। এমনকি আল্লাহও তাকে স্মরণ করিয়ে দেবেন— এটা, ওটা। অবশেষে যখন তার আশা শেষ হয়ে যাবে— আল্লাহ বলবেন, এগুলো তোমার জন্য এবং এর অনুরূপও তার সাথে।
আতা ইব্ন ইয়াযিদ বলেন, আবু সায়িদ খুদরি আবু হুরায়রার সাথেই ছিল। আবু হুরায়রা (রা.) হাদিসের কোনো অংশ তিনি প্রত্যাখ্যান করেননি। অবশেষে যখন আবু হুরায়রা বললেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “এগুলো তোমার জন্য এবং এর সমান এর সাথে।’ আবু সায়িদ খুদরি বললেন, ‘এবং তার সাথে তার দশগুণ হে আবু হুরায়রা।’
আবু হুরায়রা বললেন, আমার শুধু মনে আছে- ‘এগুলো এবং এর সাথে তার অনুরূপ।’ আবু সায়িদ বললেন, আমি সাক্ষী দিচ্ছি আমি রাসুল (সা.) থেকে তার বাণী— ‘এগুলো তোমার জন্য এবং তার সমান দশগুণ’— খুব ভাল করে স্মরণ রেখেছি। আবু হুরায়রা বললেন, এই ব্যক্তি হলো- জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ ব্যক্তি।’ (বুখার, হাদিসে কুদসি : ৫৬)
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি অবশ্যই চিনি— জাহান্নাম থেকে নাজাতপ্রাপ্ত সর্বশেষ জাহান্নামি এবং জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ জান্নাতিকে। এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, অতঃপর আল্লাহ বলবেন, তার ছোট পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো। বড় পাপগুলো গোপন রাখো। অতঃপর তাকে বলা হবে- তুমি অমুক অমুক পাপ; অমুক অমুক দিন করেছ। অমুক অমুক পাপ; অমুক অমুক দিন করেছ।
তিনি বলেন, অতঃপর তাকে বলা হবে- তোমার জন্য প্রত্যেক পাপের পরিবর্তে একটি করে নেকি। তিনি বলেন, অতঃপর সে বলবে, হে আমার রব আমি অনেক কিছু করেছি এখানে তা দেখছি না। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে দেখেছি হাসতে। এমনকি তার মাড়ির দাঁত পর্যন্ত বের হয়েছিল। (মুসলিম, হাদিসে কুদসি : ৫৭)
এইচএকে/এমএমইউ