প্রিয়নবী (সা.) এর জামাতা ছিলেন যে সাহাবিরা
প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিন ছেলে ও মেয়ে ছিল। ইবরাহিম ছাড়া বাকি ছয় সন্তানের সবাই ছিলেন খাদিজা (রা.)-এর গর্ভজাত।
খাদিজা (রা.)-এর গর্ভে রাসুল (সা.)-এর প্রথম সন্তান ছিলেন কাসেম। তার নামেই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উপনাম ছিল আবুল কাসেম। অতঃপর কন্যা জয়নব, পুত্র আবদুল্লাহ, যার লকব ছিল তাইয়িব ও তাহের।
কারণ তিনি নবুয়ত লাভের পর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতেমা। কাসেম ছিলেন সন্তানদের মধ্যে সবার বড়। যিনি ১৭ মাস বয়সে মারা যান।
মহানবী (সা.)-এর সর্বমোট চার মেয়ে ছিলেন। জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতেমা (রা.)। এবং তাঁর পাঁচজন জামাতা ছিলেন।
১. আবুল আস বিন রাবি রা.
তিনি খাদিজা (রা.)-এর আপন বোন হালার পুত্র ছিলেন। কন্যা জয়নব (রা.)-কে তিনি এই ভাগিনার সঙ্গে বিবাহ দেন। আলী ও উমামাহ নামে তাঁদের একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তান হয়। জয়নব (রা.) অষ্টম হিজরিতে এবং আবুল আস (রা.) ১২ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন
২. ও ৩. উতবা ও উতাইবাহ
আবু লাহাবের এই দুই পুত্রের সঙ্গে রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম (রা.)-এর বিবাহ হয়। কিন্তু সুরা লাহাব নাজিলের পর তাঁদের তালাক দিতে আবু লাহাব বাধ্য করেন। এদের ঔরসে কোনো সন্তান হয়নি।
৪. ওসমান (রা.)
পরে রুকাইয়া (রা.)-কে ওসমান (রা.)-এর সঙ্গে বিয়ে দেন। হাবশায় হিজরতকালীন ‘আবদুল্লাহ’ নামে তাঁর একটি পুত্রসন্তান হয়। যিনি প্রথম হিজরিতে মদিনায় ছয় বছর বয়সে মারা যান। তার পরের বছর দ্বিতীয় হিজরিতে বদরের যুদ্ধ থেকে ফেরার দিন রুকাইয়া (রা.) মৃত্যুবরণ করেন।
অতঃপর উম্মে কুলসুম (রা.)-এর ওসমান (রা.)-এর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়। রাসুল (সা.)-এর দুই মেয়ের স্বামী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করায় ওসমান (রা.)-কে ‘জুন-নুরাইন’(দুই নুরের অধিকারী) বলা হয়। উম্মে কুলসুম (রা.) নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি নবম হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন।
৫. আলী (রা.)
দ্বিতীয় হিজরির সফর মাসে তাঁর সঙ্গে ফাতেমা (রা.)-এর বিবাহ হয়। হাসান, হোসাইন, উম্মে কুলসুম ও জয়নব নামে তাঁর গর্ভজাত চারটি সন্তান ছিল। অনেকে মুহসিন ও রুকাইয়া নামে আরো দুটি সন্তানের কথা বলেছেন। যাঁরা শিশু অবস্থায় মারা যায়। ১১ হিজরির তৃতীয় রমজান মঙ্গলবার রাতে ৩০ অথবা ৩৫ বছর বয়সে ফাতেমা (রা.) মৃত্যুবরণ করেন।