যে নফল নামাজগুলো আল্লাহর প্রিয়
ফরজ ইবাদত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য পালন করা আবশ্যক। ফরজ ইবাদত পালন না করলে আল্লাহর কাছে এর জন্য জবাবদিহিতা ককরতে হবে। ফরজের হিসাব দিলেই তবে অন্য সব ইবাদতের হিসাব গ্রহণ করবেন আল্লাহ তায়ালা।
ফরজের পাশাপাশি নফল ইবাদত করাও উচিত। কারণ, নফল ইবাদত মানুষের আমলনামার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং তা আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় করে তোলে। নফল ইবাদত কিয়ামতের দিন বিশেষ কাজে আসবে। যদি কোনো বান্দার ফরজের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা নফলের মাধ্যমে তা পূরণের চেষ্টা করবেন। এজন্য নফল ইবাদত থাকতে হবে। নফল ইবাদত না থাকলে ফরজের ঘাটতি পূরণের কোনো উপায় থাকবে না।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন বান্দার যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে নামাজ। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি (নামাজ) খারাপ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যদি তার ফরজের (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে। -(আবু দাউদ ৮৬৪, তিরমিজি ৪১৩, ইবনে মাজাহ ১৪২৫)
নফল ইবাদতের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। ঠিক তেমনি বিশেষ কিছু নফল নামাজ রয়েছে যা আমলের পাল্লাকে ভারী করতে পারে। এখানে কিছু নফল নামাজের তালিকা তুলে ধরা হলো—
>> তাহাজ্জুদের নামাজ।
>> ফরজ নামাজের আগের ও পরের সুন্নত নামাজ।
>> ইশরাকের নামাজ।
>>চাশতের নামাজ।
>> তাহিয়্যাতুল অজুর নাামাজ।
>> দুখুলুল মাসজিদের নামাজ।
>> সালাতুল হাজত।
ফরজ নামাজের আগের ও পরের সুন্নত নামাজগুলো ছাড়া অন্যান্য নফল নামাজগুলো নামাজের নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যেকোনো সময় পড়া যায়।