আল্লাহর কাছে যে দোয়া করেছিলেন হজরত আদম ও নূহ (আ.)
মুমিনের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় দোয়া। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়াকে সর্বোত্তম ইবাদত ও ইবাদতের মূল বলে অভিহিত করেছেন। দোয়া মুমিনের জীবনের শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি ও ঈমানের শক্তি বৃদ্ধির হাতিয়ার দোয়া। আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
নবী-রাসূলগণ পৃথিবীর সর্বোত্তম মানুষ হিসেবে বিবেচিত। নবীরা নিজের এবং বিশ্ববাসীর কল্যাণের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া করেছেন। যা সবার জন্য অনুকরণীয়। এখানে আদি পিতা আদম আ., দ্বিতীয় মানব খ্যাত নূহ আ. থেকে বর্ণিত দুইটি দোয়া তুলে ধরা হলো। আমাদের জীবনের শান্তি ও সাফল্য অর্জনের জন্য এই দোয়াগুলো করা যেতে পারে।
হজরত আদম আ.-এর দোয়া
رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا ٜ وَ اِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَ تَرۡحَمۡنَا لَنَكُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
উচ্চারণ : রব্বানা যালামনা আংফুছানা ওয়াইন-লাম তাগফির লানা-লানা-কু-নান্না-মিনাল খাছিরীন।
অর্থ : ‘হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব’। (সূরা আরাফ, আয়াত : ২৩)
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন হজরত আদম আ.। নিজের ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য এই দোয়াটি করেন তিনি।
হজরত নূহ আ. -এর দোয়া
رَبِّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَسْئَلَكَ مَا لَيْسَ لِيْ بِهِ عُلْمٌ وَ إِلَّا تَغْفِرْلِيْ وَ تَرْحَمْنِيْ أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি আ`উজুবিকা আন আসআলাকা মা লাইসা লি বিহি ইলমুও ওয়া ইল্লা তাগফিরলি ওয়া তারহামনি আকুম মিনাল খাসিরিন।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা আমার যা জানা নেই এমন কোনো দরখাস্ত করা হতে আমি আপনার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, দয়া না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব। (সুরা হূদ : আয়াত ৪৭)
হজরত নূহ আ.-এর জাতি পৃথিবীর অন্যতম অবাধ্য জাতির একটি। নূহ আ. প্রায় ৯০০ বছর চেষ্টা করেও তাদের দ্বীনের পথে ফেরাতে পারেননি। অবাধ্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছিল নূহ আ.-এর ছেলে কেনানও। আল্লাহ তায়ালা প্লাবনের মাধ্যমে এই অবাধ্য জাতিকে ধ্বংস করেছিলেন।
নূহ আ. প্লাবন থেকে নিজের সন্তানকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন, খোদাদ্রোহী কেউ রক্ষা পাবে না। তখন অনুশোচনাবোধ থেকে আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেন নূহ আ.।