নামাজের মধ্যে শরীর চুলকানো যাবে?
শরীর চুলকানো একটি স্বাভাবিক বিষয়। যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে শরীর চুলকাতে পারে। অনেক সময় এলার্জি বা এ জাতীয় কারণে শরীর চুলকায়। কখনোবা স্বাভাবিক নিয়মে চুলকায়।
শরীর চুলকানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটি নামাজের সময় খুব বেশি পরিমাণে হলে তা নামাজ ভঙ্গের কারণ হতে পারে। এজন্য জেনে নিতে হবে কী পরিমাণ ও কতটুকু শরীর চুলকালে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
এ বিষয়ে আলেমরা বলেছেন, নামাজে দাঁড়িয়ে অহেতুক দীর্ঘ সময় শরীর চুলকালে, তিনবারের অধিক চুলকালে এমনিতেই নামাজ ভেঙ্গে যায়। খুবই অসহনীয় চুলকানীর ক্ষেত্রে মাত্র একবার ভালো করে চুলকে ফেললে নামাজ হয়ে যায়। কিন্তু বারবার চুলকালে (আমলে কাসির) বিবেচনায় নামাজ ভেঙ্গে যায়।
ফুকাহায়ে কেরামের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী ‘আমলে কাসির’ বলা হয়, নামাজে এমন নড়াচড়াকে যে কারণে নামাজের বাইরের কেউ দেখলে মুসল্লি সম্পর্কে তার নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে, এই মুসল্লি এখন আর নামাজে নেই। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি নামাজের বাইরের কেউ মুসাল্লিকে দেখে তার সম্পর্কে নামাজরত বলে ধারণা করা যায়, তাহলে এমতাবস্থায় মুসল্লির কাজকে 'আমলে কালীল’ বলা হবে, এবং তখন নামাজ নষ্ট হবে না।
নামাজের শরীর চুলকানোর বিষয়টিতে আলেমদের মূল ভাষ্য হলো, নামাজের মধ্যে একবার-দুবার হাত উঠিয়ে তিনবার বা ততোধিকবার চুলকালে অথবা এর চেয়ে বেশি হাত উঠিয়ে প্রত্যেকবার মাঝখানে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর চুলকালে নামাজ নষ্ট হবে না।
পক্ষান্তরে তিনবারের মধ্যে প্রত্যেকবারের জন্য হাত উঠালে এবং আগে ও পরেরবারের মাঝখানে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অতিবাহিত না হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৬৪০, হিন্দিয়া : ১/১০৪, আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/৪১৭)