টাখনু খোলা থাকলে নারীর নামাজ হবে?
নারী ও পুরুষের শরীরের যেসব অঙ্গ লজ্জার কারণে ঢেকে রাখা হয় তাকে সতর বলা হয়। ইসলামের পরিভাষায়, পুরুষের সতর বা ঢেকে রাখতে হয়- এমন অংশ হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। অর্থাৎ এতটুকু স্থান অন্য ব্যক্তিদের সামনে ঢেকে রাখা ফরজ। বাকি মানুষের সামনে যাওয়ার সময় ক্ষেত্র ও সমাজ হিসেবে যা শালীন ও খোদাভীতি প্রকাশ করে এমন পোশাক পরিধান করা উত্তম।
নারীদের সতর হলো- মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দানসংশ্লিষ্ট সিনার ওপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর। অর্থাৎ, এর বাইরের অংশ ঢেকে রাখতেই হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/৩২)
এর বাইরে নারীদের জন্য গায়রে মাহরামের সামনে পূর্ণ শরীরই সতর। তবে অতীব প্রয়োজনে চেহারা, পা ও হাত খোলা জায়েজ আছে। যেমন—রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড় হলে, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া ইত্যাদি।
নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য সতর ঢেকে নামাজ আদায় করা জরুরি। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই নামাজে সতর ঢেকে রাখা ফরজ। হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলারা ওড়না ছাড়া নামাজ আদায় করলে তা আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৬৪১)
আরও পড়ুন
ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতে, নামাজের সময় মহিলাদের পায়ের টাখনু খোলা রাখা হারাম। তবে নামাজের সময় যদি পায়ের গোড়ালি খুলে যায়, তাহলেও মাকরুহ অবস্থায় নামাজ হয়ে যাবে। কারণ, পায়ের টাখনু পায়ের নলার সাথে সংযুক্ত এবং গোড়ালি এক চতুর্থাংশের কম, তাই শুধুমাত্র টাখনু খোলা থাকার কারণে নামাজ নষ্ট হবে না। বরং মাকরুহের সাথে আদায় হবে।
তবে পায়ের নলা আর টাখনু মিলে এক চতুর্থাংশ খোলা থাকে, এবং এক রুকন তথা তাসবিহ পরিমাণ খোলা তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।