যে আমলের ফজিলত জানলে মানুষ প্রয়োজনে প্রতিযোগিতা করতো
অনেক ছোট ছোট আমল আছে যেসবের প্রতি মানুষ গুরুত্ব দিলে পরকালের আমলের পাল্লা ভারী হওয়া সহজ। আমলগুলো মানুষ চাইলেই সহজেই করতে পারে কিন্তু এর প্রতি গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে অনেক বড় ফজিলত থেকে বঞ্চিত হয়। এ জন্য সবার একটু প্রচেষ্টা বা মানসিক ইচ্ছাই যথেষ্ট।
এমন দুইটি আমল হলো, এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা। অপরটি হলো প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করা। এই আমল দুইটির ফজিলত এতো বেশি যে কেউ এর ফজিলত জানলে আমল দুটি করার জন্য প্রতিযোগিতা করতো বলে ধারণা করেছেন রাসূল সা.।
এ বিষয়ে হজরত উবাই ইবনু কাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করার পর বললেন, অমুক হাজির আছেন কি? সাহাবীগণ বললেন, না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ দুই ওয়াক্ত (ফজর ও ইশা) সালাতই মুনাফিকদের জন্য বেশি ভারী হয়ে থাকে। তোমরা যদি জানতে এ দু’ওয়াক্ত সালাতে কী পরিমাণ সওয়াব রয়েছে তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তোমরা অবশ্যই এতে শামিল হতে।
রাসূল সা. আরও বলেছেন জামাতের প্রথম কাতার মালায়িকাহ্র (ফেরেশতাদের) কাতারের সমতুল্য। তোমরা যদি এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে, তাহলে অবশ্যই তোমরা এজন্য প্রতিযোগিতা করতে। নিশ্চয় দু’জনের জামাত একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে উত্তম। তিনজনের জামাত দু’জনের জামাতের চেয়ে উত্তম। জামাতে লোক সংখ্যা যত বেশি হবে মহান আল্লাহর কাছে তা ততই বেশি পছন্দনীয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)