এক যুবক সাহাবিকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন প্রিয়নবী সা.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। তিনি তাদেরকে হেদায়েতের বাণী শুনিয়েছেন। ভালো-মন্দের শিক্ষা দিয়েছেন। সব সময় সরল সঠিক পথ অবলম্বন করতে বলেছেন। হজরত আবু যার জুনদুব ইবন জুনাদাহ ও আবু আব্দুর রহমান মুআয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, তারা বলেন—
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তুমি যেখানে যে অবস্থায় থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক মন্দ কাজের পর ভাল কাজ কর, যা তাকে মুছে দেবে; আর মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর। (তিরমিজি, হাদিস ১৯৮৭)
রাসূল সা. উম্মতের সব শ্রেণীর মানুষকে উপদেশ দিয়েছেন। বিখ্যাত সাহাবি ইবনে আব্বাস রা.-কে তিনি বিশেষ কিছু উপদেশ দিয়েছেন, যা আল্লাহর সঙ্গে একজন মানুষের সম্পর্ক দৃঢ় করতে সহায়ক হবে। সেই হাদিসে তিনি আল্লাহকে স্মরণ, তাকদিকের ভালো-মন্দ ও ধৈর্য ধারণ নিয়ে বলেছেন। হাদিসটি তুলে ধরা হলো এখানে।
হজরত আবু আব্বাস আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত—
একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে ছিলাম, তিনি আমাকে বললেন, হে যুবক! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শেখাবো—
আল্লাহকে সংরক্ষণ করবে তো তিনি তোমাকে সংরক্ষণ করবেন, আল্লাহকে স্মরণ করলে তাঁকে তোমার সামনেই পাবে। যখন কিছু চাইবে আল্লাহর কাছেই চাইবে; যখন সাহায্য চাইবে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে।
জেনে রাখ, সকল মানুষ যদি তোমার কোনো উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তা ছাড়া আর কোনো উপকার করতে পারবে না। আর যদি সকল মানুষ তোমার কোনো অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ছাড়া আর কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে। (তিরমিজি. হাদিস : ২৫১৬)
আরও পড়ুন
হাদিসে বর্ণিত আল্লাহকে সংরক্ষণ করার অর্থ, আল্লাহর তাওহীদ ও অধিকার সংরক্ষণ। আল্লাহর আদেশ নিষেধ ও শরীয়তের বিধি-বিধানের সীমারেখা সংরক্ষণ।
তিরমিজি ছাড়া অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, আল্লাহকে স্মরণ করলে তাঁকে তোমার সামনে পাবে, তুমি স্বচ্ছল অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করলে তিনি তোমাকে কঠিন অবস্থায় স্মরণ করবেন। মনে রেখো— যা তুমি পেলে না, তা তোমার পাবার ছিল না, আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকতে না। আরও জেনে রাখো— ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে।