হাদিসে সাহাবিদের খরগোশের গোশত খাওয়া নিয়ে যা বলা হয়েছে
এক ধরনের তৃণভোজী শান্ত ও নিরীহ স্বভাবের স্তন্যপায়ী প্রাণী খরগোশ। অনেকেই শখের বসে খরগোশ পোষেন। খরগোশ বন্য পরিবেশে দলবদ্ধভাবে বাস করে। শিকারির হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষায় এরা সব সময়ই বেশ সতর্ক।
খরগোশের বংশবৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি। দ্রুত বর্ধনশীল এই প্রাণী একসঙ্গে দুই থেকে আটটি বাচ্চা প্রসব করতে পারে, তা-ও আবার এক মাস পরপর।
এ পর্যন্ত খরগোশের ৩০টির মতো প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। খরগোশ দিনে আট ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়ে কাটায়। ভোর এবং সন্ধ্যার দিকে এরা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সুস্বাদু খাবার হিসেবেও খরগোশের গোশতের বেশ সুনাম রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সাহাবিরা এর গোশত খেয়েছেন, রাসূল সা.-কে উপহার দিয়েছেন, তিনিও খেয়েছেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন
হিশাম ইবনু যাইদ রহ. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আনাস রা.-কে আমি বলতে শুনেছি, আমরা একটি খরগোশকে মাররায-যাহরানে স্থানে তাড়া করলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিরা এর পিছু ধাওয়া করলেন। আমি এর নাগালে পৌঁছে তা ধরে ফেললাম।
আমি আবু তালহা রা.-এর সামনে খরগোশটি নিয়ে এলে তিনি একটি ধারালো পাথর দিয়ে তা জবাই করেন। তিনি আমাকে এর উরু অথবা নিতম্বের গোশত দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে পাঠালে তিনি তা খেলেন। আমি (হিশাম) প্রশ্ন করলাম, তিনি কি তা খেয়েছেন? আনাস রা. বললেন, তিনি তা গ্রহণ করেছেন। ( ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৩২৪৩)