হজরত আলী রা. সম্পর্কে যা বলেছেন মহানবী সা.
হজরত আলী রা. প্রথম কয়েকজন ইসলাম গ্রহণকারীদের একজন। শৈশবে তিনি মুহাম্মদ সা.-এর কাছেই লালিত-পালিত হয়েছেন। রাসূল সা.-এর কাছে থাকার ফলে নবুয়ত লাভের পরই আলী রা. ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেন। এরপর তিনি সব সময় রাসূল সা.-এর পাশে ছিলেন। হিজরতের রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাসূল সা.-এর ঘরে রাতযাপন করেছিলেন।
আল্লাহর রাসূল সা. আপন চাচাতো ভাইকে নিজের জামাতা বানিয়েছিলেন। নিজের কলিজার টুকরো ফাতিমা রা.-কে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। রাসূল সা. আলী রা.-কে অনেক স্নেহ করতেন। বিভিন্ন হাদিসে এর প্রমাণ রয়েছে। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
রাসূল সা. এক অভিযানে একটি সেনাদল প্রেরণ করেন। তিনি আলী রা.-কে এই দলের আমির নিযুক্ত করেন। তিনি এই অভিযানে গেলেন এবং একটি দাসীকে নিজের অধিকারে নিলেন। সঙ্গীরা এই বিষয়টি অপছন্দ করলেন। এই দলের চারজন সাহাবী রাসূল সা.-কে আলী রা.-এর ঘটনা সম্পর্কে জানানোর মনস্থির করলেন।
কোনো সফর থেকে ফিরে সাহাবিরা প্রথমে রাসূল সা.-এর কাছে যেতেন। এরপর নিজেদের বাড়িতে যেতেন। এই দলটি ফেরার পর রাসূল সা.-এর কাছে গেলেন। এ সময় ওই চার সাহাবি রাসূল সা.-কে জানালেন, আলী রা. এমন করেছেন।
আরও পড়ুন
রাসূল সা. তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, তোমরা আলীর ব্যাপারে কি করতে চাও? আলীর বিষয়ে তোমাদের ইচ্ছাটা কি? আলী তো আমার, আমি আলীর। সে তো আমার পরবর্তী সব মুমিনেরই বন্ধু। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭১২)
আরেক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা রহম করুন আবু বকরের প্রতি তিনি তাঁর মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। আমাকে হিজরতের পথে মদিনায় নিয়ে এসেছেন। বিলালকে তাঁর অর্থ ব্যয় করে আজাদ করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা রহম করুন ওমরের প্রতি। তিক্ত হলেও তিনি সদা হকের কথাই বলেন। হক তাকে বন্ধুহীন করে ছেড়েছে।
আল্লাহ তায়ালা রহম করুন উসমানের প্রতি। ফিরিশতারা পর্যন্ত তাকে লজ্জা করেন।
আল্লাহ তায়ালা রহম করুন আলীর প্রতি। হে আল্লাহ! সে যে দিকে ঘুরবে হক ও সত্যকে তুমি সে দিকে ঘুরিয়ে দিও। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭১৪, মিশকাত, হাদিস : ৬১৩৪)