বন্যার পানিতে ভেসে আসা মাছ শিকার করে খাওয়া যাবে?
ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনজীবন ও জনপদকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ক্ষতি সহজেই পুষিয়ে উঠা সম্ভব হয় না। বন্যা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলে কোনো কিছুই স্বাভাবিক থাকে না। বন্যার পানির স্রোতে মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে যায়। কোথাও মানুষের লাশ ভেসে উঠে। অনেকের গবাদি পশুও ক্ষতিগ্রস্থ হয় বন্যার কারণে।
পানি অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে ব্যক্তিগত পুকুরে চাষাবাদের মাছও ভেসে যায় স্রোতের তোড়ে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে এই মাছ আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না প্রকৃত মালিকের পক্ষে।
স্রোতের তোড়ে ভেসে আসা মাছ অনেকেই শিকার করে থাকেন খাওয়ার জন্য। নদীতে মাছ শিকার করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে বন্যার সময় যেহেতু এতে অনেকের পুকুরের মাছ মিশে যায়, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয় এই মাছ শিকার করা ও খাওয়া যাবে কিনা?
আরও পড়ুন
এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন—
যদি কারো মালিকানাধীন পুকুরের মাছ তার পুকুর থেকে বের হয়ে যায় এবং বন্যার পানির সঙ্গে নদীতে গিয়ে মিশে। পরবর্তীতে যদি এই মাছ আর কোনোভাবে আলাদা করার ও নির্দিষ্ট মালিক এই মাছ খুঁজে বের করার বা পুকুরে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে ওই মাছ শিকার করা ও খাওয়া যাবে। কারণ, পুকুর থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে ওই মাছ সাধারণ নদীর মাছের মতোই হয়ে যায়। ওইসব মাছ ধরা ও খাওয়া জায়েজ হবে।
এই কারণে ফেকাহবিদ আলেমদের মতে, বন্যার পানিতে যেসব মাছ ভেসে আসে, সেগুলো শিকার করা এবং খাওয়া জায়েজ হবে।
(ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪২০, আররদ্দুল মুহতার- ৫/৬১)