রাসূল সা. যেভাবে পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন
সতর একজন মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সতর ডেকে রাখা ফরজ। সতর এবং নিজের পুরো শরীর ঢেকে রাখতে মানুষ কাপড়, পোশাক ব্যবহার করে থাকে। কাপড় ছাড়া কোনো সভ্য মানুষকে কল্পনা করা যায় না। মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি বিষয়ের মতো পোশাক পরিধানে ইসলামের নির্দিষ্ট ও বিশেষ বিধান রয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, যাচ্ছেতাই পোশাক পরিধান ইসলাম সমর্থন করে না।
অন্য সবকিছুর মতো পোশাকেও শালীনতার প্রতি গুরুত্ব দিতে বলে ইসলাম। অনেকে এমনভাবে পোশাক পরে যা শরীরকে শালীন রাখে না। অঙ্গ-প্রতঙ্গ এমভাবে ফুটে ওঠে, যা অন্যের জন্য বিব্রতকর, এমন পোশাক পরিধানে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রাসূল সা. একে রুচি বর্হিভূত বলে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ভাবে কাপড় জড়িয়ে-পেঁচিয়ে পরতে নিষেধ করেছেন, ১. এভাবে, যাতে লজ্জাস্থান আসমান পর্যন্ত উন্মুক্ত হয়ে যায়। ২. যাতে তার শরীরের একাংশ খোলা থাকে এবং কাপড় তার কাঁধে জড়ানো থাকে।
আরও পড়ুন
এর পাশাপাশি পুরুষদের নারীদের বেশ ধারণ করে এমন পোশাক পরতেও নিষেধ করেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লানত করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৮৮৬)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘যে সব নারী পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যে সব পুরুষ নারীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ ( সহীহুল জামে হাদিস : ৪৫৩৩)