নওমুসলিমের সুন্দর নাম রাখার গুরুত্ব
ইসলাম আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বিন মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসেবে প্রেরণের পর থেকে প্রত্যেকের জন্য ইসলামকে ধর্ম হিসেবে মানা আবশ্যক। অনেকেই জন্মগতভাবে মুসলিম। কেউ কেউ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয়ে জন্মগ্রহণ করেন, পরবর্তীতে ইসলামকে বুঝার ফলে ইসলাম গ্রহণ করে থাকেন। তাদেরকের নওমুসলিম বলা হয়।
নওমুসলিমরা ধর্ম পরিবর্তনের পর মুসলিমদের মতো সুন্দর সুন্দর অর্থবোধক নাম রেখে থাকেন। রাসূল সা. নিজেও সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
আরও পড়ুন
হাদিস শরিফে পাওয়া যায় যে, কোনো সাহাবির নাম যদি মন্দ অর্থের হত, তাহলে রাসূল সা. তাদের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর নাম রেখে দিতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، قَالَ جَلَسْتُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَحَدَّثَنِي أَنَّ جَدَّهُ حَزْنًا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ ” مَا اسْمُكَ ”. قَالَ اسْمِي حَزْنٌ. قَالَ ” بَلْ أَنْتَ سَهْلٌ ”. قَالَ مَا أَنَا بِمُغَيِّرٍ اسْمًا سَمَّانِيهِ أَبِي. قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ فَمَا زَالَتْ فِينَا الْحُزُونَةُ بَعْدُ
‘সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত। একবার তাঁর দাদা রাসূল (সা.)-এর কাছে আসলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? তিনি উত্তর দিলেন, আমার নাম হাযন (হাযন অর্থ শক্তভূমি)। তিনি বললেন, না বরং তোমার নাম ‘সাহল’ (সাহল অর্থ, নরম জমিন)।
তিনি বললেন, আমার পিতা আমার যে নাম রেখে গিয়েছেন, তা আমি পাল্টাতে চাই না। ইবনে মুসাইয়্যাব বলেন, ফলে এরপর থেকে আমাদের বংশে দুঃখ কষ্টই লেগে আছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৯৩)
তাই কোনো নওমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে তার জন্য উচিত সুন্দর ও অর্থবোধক নাম গ্রহণ করা। তবে মুসলমান হলে নাম পরিবর্তন করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।
আর কোনো নওমুসলিমের নামে যদি শিরক বা ইসলামী চেতনা বিরোধী কোনো শব্দ থাকে সেগুলো অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।