সূরা নূহে যে দোয়া বর্ণিত হয়েছে
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী অনেক নবী রাসূলের দোয়া বর্ণনা করেছেন। যেই দোয়াগুলো আমাদের জন্য বিশেষ কার্যকরী এবং আল্লাহর রহমত লাভের অন্যতম মাধ্যম।
দোয়া যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে করা যায়। মুমিনের দোয়া কখনো বৃথা যায় না। কারণ হাদিসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘যখন কোনো মুসলমান দোয়া করে, যদি তার দোয়ায় গুনাহের কাজ কিংবা সম্পর্কচ্ছেদের আবেদন না থাকে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তিনটি প্রতিদানের যেকোনো একটি অবশ্যই দান করেন। সঙ্গে সঙ্গে দোয়া কবুল করেন এবং তার কাঙ্ক্ষিত জিনিস দিয়ে দেন। দোয়ার কারণে কোনো অকল্যাণ বা বিপদ থেকে হেফাজত করেন অথবা আখিরাতের কল্যাণের জন্য তা জমা করে রাখেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১১১৪৯)
এজন্য সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। দোয়া করে কখনো নিরাশ হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন
এখানে এমন একটি দোয়া তুলে ধরা হলো যা নূহ আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে করেছিলেন। এই দোয়াটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মজলুম মুসলিমদের জন্যও করা যেতে পারে। দোয়াটি হলো—
رَّبِّ لَا تَذَرۡ عَلَی الۡاَرۡضِ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ دَیَّارً اِنَّکَ اِنۡ تَذَرۡهُمۡ یُضِلُّوۡا عِبَادَکَ وَ لَا یَلِدُوۡۤا اِلَّا فَاجِرًا کَفَّارًا رَبِّ اغۡفِرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِمَنۡ دَخَلَ بَیۡتِیَ مُؤۡمِنًا وَّ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ وَ لَا تَزِدِ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا تَبَارًا
উচ্চারণ : রাব্বি লা তাযার আলাল আরদ্বি মিনাল কাফিরিনা দাইয়্যারা, ইন্নাকা ইং-তাযালহুম, ইউদ্বিল্লু ইবাদাক, ওয়ালা ইয়ালিদু ইল্লা ফাজিরাং-কাফ্ফারা।
রাব্বিগফিলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা, ওয়ালিমাং দাখালা বাইতিয়া মু’মিনাও-ওয়ালিল মু’মিনিরা ওয়াল মু’মিনাত, ওয়ালা তাঝিদি-দ্বালিমিনা ইল্লা-তাবারা।
অর্থ :
‘হে আমার রব! পৃথিবীতে কোনো কাফিরকে রেহাই দিয়েন না’। যদি তাদেরকে রেহাই দেন, তাহলে তারা আপনার বান্দাদেরকে বিপথে নিয়ে যাবে আর শুধু পাপাচারী কাফির জন্ম দিতে থাকবে।
হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (সূরা নূহ, আয়াত : ২৬-২৮)