মেয়েদের ইসলামিক নাম ও সুন্দর নাম রাখার গুরুত্ব
শিশুর সুন্দর ও অর্থবধক নাম রাখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ইসলামে। পরিবার থেকে সুন্দর নাম পাওয়া শিশুর অধিকার। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তিনি শিশুর জন্মের সপ্তম দিন নবজাতকের উত্তম ও সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। (তিরমিজি, হাদিস, ২/১১০)
সুন্দর নাম রাখার গুরুত্ব
সুন্দর নাম রাখার তাগিদ দিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ৪৩০০)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
یٰزَکَرِیَّاۤ اِنَّا نُبَشِّرُکَ بِغُلٰمِۣ اسۡمُهٗ یَحۡیٰی ۙ لَمۡ نَجۡعَلۡ لَّهٗ مِنۡ قَبۡلُ سَمِیًّا
হে জাকারিয়া, আমি (আল্লাহ) তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে ইয়াহইয়া। এই নামে এর আগে আমি কারো নামকরণ করিনি। (সূরা মারিয়াম, (১৯), আয়াত, ৭)
শিশুর নাম রাখার অধিকারী হলেন প্রথমত মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, ভাই-বোন, ফুফু-খালা, চাচা-মামা ও আত্মীয়-স্বজন। নাম যেন অর্থবহ হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
মন্দ অর্থবহ বা গুণাগুণ সংবলিত নাম রাখা উচিত নয়। (বুখারি, হাদিস, ২/৯১৪) তাই ক্ষতিকারক ও আল্লাহর গজব সংবলিত ফণী, তিতলি ইত্যাদি কারো নাম রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। কেননা নামের প্রভাব মানুষের সত্তা ও গুণাগুণের ওপরও পড়ে। আর হাশরের ময়দানে প্রত্যেককে তার নামেই ডাকা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস, ২/৬৭৬)
আরও পড়ুন
মেয়েদের ইসলামিক নাম
যে কেউ নামের প্রস্তাব বা পরামর্শ দিতে পারে। অভিজ্ঞ আলেম বা বিজ্ঞ ব্যক্তি প্রস্তাবিত নামের অর্থ, গুণাগুণ ও তাৎপর্য অনুসারে এর প্রাধান্য ব্যাখ্যা করবেন। সন্তানের অভিভাবকরা নাম গ্রহণে সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে মেয়েদের কিছু ইসলামিক নাম তুলে ধরা হলো-
খাদিজা- অর্থ : অকাল-জন্মা। (শেষনবীর প্রথম স্ত্রীর নাম)।
আয়েশা- অর্থ : সজীব, প্রাণবন্তা, জীবনধারিণী। (শেষনবীর প্রিয়তমা স্ত্রীর নাম)
উম্মে হাবিবা- অর্থ : হাবীবার মা। (রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নামের অন্তর্ভুক্ত)।
রুফাইদা - অর্থ : সামান্য দান। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)
আমেনা- অর্থ : প্রশান্ত আত্মা, বিশ্বাসিনী, নিরাপদ। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
আসমা- অর্থ : সবচেয়ে উচ্চ। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
রাকিকা - অর্থ : কোমলবতী। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
নাফিসা- অর্থ : মূল্যবান। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
আতিকা - অর্থ : সুগন্ধিনী। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
হালিমা - অর্থ : ধৈর্য্যশীলা। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
রাবাব - অর্থ : শুভ্র মেঘ।(মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
আসিয়া - অর্থ : সমবেদনাপ্রকাশকারিনী, স্তম্ভ। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
আরওয়া - অর্থ : কোমল ও হালকা। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
আনিসা - অর্থ : ভাল মনের অধিকারিনী। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
জামিলা - অর্থ : সুন্দরী। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
দুর্রা - অর্থ : বড় মতি। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
রাইহানা - অর্থ : সুগন্ধি তরু। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
সালমা - অর্থ : নিরাপদ। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
আলিয়া - অর্থ : উচ্চমর্যাদা সম্পন্না, সুউচ্চ, উন্নতা। (মহিলা সাহাবীবর্গের নামের অন্তর্ভুক্ত)।
সুরাইয়া - অর্থ : বিশেষ একটি নক্ষত্র।
এনটি