আজান শোনা ছাড়া নামাজ পড়া যাবে?
মানুষকে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় আজান। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় হিজরতের পর আজানের প্রচলন হয়। নামাজ আদায়ের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি।
আজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রহ.) আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান আনসারী মাযিনী (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে বললেন, আমি দেখছি তুমি বকরি চরানো এবং বন-জঙ্গলকে ভালোবাস। তাই তুমি যখন বকরি চরাতে থাকো বা বন-জঙ্গলে থাকো তখন উচ্চকন্ঠে আজান দাও। কেননা, জিন, ইনসান বা যেকোনো বস্তুই যতদূর পর্যন্ত মুয়াজ্জিনের আওয়াজ শুনবে, সে কিয়ামতের দিন তার পক্ষে স্বাক্ষ্য দিবে। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, একথা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে শুনেছি। (বুখারি, হাদিস, ৫৮২)
আজান সুন্নত পদ্ধতিতে দেওয়া জরুরি এবং যে ব্যক্তি আজান শুনবেন তার জন্য আজানের উত্তর দেওয়ার নিয়ম। তবে নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য আজান শোনা জরুরি নয়। কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান বা ঘুমিয়ে থাকার কারণে যদি আজান শুনতে না পান অথবা এমন কোনো অমুসলিম দেশে বসবাস করেন যেখানে শব্দ করে আজান দেওয়া হয় না, তাহলে আজান শোনা ছাড়াও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, আসওয়াদ ও আলকামা (রহ.) থেকে বর্ণিত তারা বলেন-
‘আমরা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর ঘরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের পেছনের লোকেরা কি নামাজ পড়েছে? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, (তাহলে) তোমরা দাঁড়াও, নামায পড়। তখন তিনি আমাদের আজান ও ইকামতের নির্দেশ দেননি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস, ৫৩৪)