লজ্জা না থাকা মানুষেরা কেমন? হাদিসে যা বলা হয়েছে
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে এমন দুটি চারিত্রিক গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে, যা আল্লাহ ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন। গুণ দুটি (১) বুদ্ধিমত্তা (২) লজ্জাশীলতা। (আদাবুল মুফরাদ)
লজ্জার আরবি হায়া। নির্লজ্জতাই (ফাহশা) বেহায়াপনা। হায়ার সমার্থক শালীনতা, শিষ্টাচার, আত্মসংযম, আত্মসম্মান, অস্বস্তিবোধ, লজ্জাশীলতা, সংকোচ, দ্বিধা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে লজ্জাশীলতা হচ্ছে মানবীয় এমন চরিত্র, যা নিকৃষ্ট, কদর্য কথা ও কর্ম পরিহারে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে এবং যথাযোগ্য হকদারকে অবহেলা ও উপেক্ষা করতে বাধা প্রদান করে।
অর্থাৎ লজ্জাশীলতা হলো আল্লাহর অপরিসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি লক্ষ করা এবং নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করা। এ উভয়বিধ চিন্তার ফলে মানসপটে যে ভাবের উদয় হয়, তাকেই বলা হয় লজ্জাশীলতা। (রিয়াজুস সালেহিন)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষ পূর্ববর্তী নবুওয়াতের যে বাণী লাভ করেছে (অর্থাৎ পূর্ববর্তী নবীদের যে শিক্ষা এ পর্যন্ত পৌঁছেছে) তা হচ্ছে– তুমি যদি লজ্জাই না কর তবে যা চাও করতে পার।’ (বুখারি, হাদিস, ৬১২০)
অর্থাৎ যে ব্যক্তির লজ্জা নেই সে হেন কাজ নেই যা করতে পারে না। যেকোনও অন্যায়–অপরাধ লজ্জাহীন মানুষ অবলীলায় করতে পারে। কিন্তু যে ব্যক্তির লজ্জা আছে, সে সহজে অন্যায়–অপরাধে লিপ্ত হতে পারে না। লজ্জা তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যখনই কোনও মন্দ কাজ করার ইচ্ছা জাগে, তখন লোকে দেখলে কী বলবে এই অনুভূতি তাকে সে কাজ করতে দেয় না। সে মনের ইচ্ছা মনেই দমন করে ফেলে।