তওবা করবেন যেভাবে
শয়তানের ধোকায় পড়ে মানুষ গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। তবে গুনাহ করা মানুষদের আল্লাহ তায়ালা আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর জুলুম করছ, তোমার আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল। পরম দয়ালু।’ (সূরা জুমা, আয়াত, ৫৩)
একজন মুসলিম যখন গুনাহ করে ফেলে, তখন তার প্রথম কাজ হলো— তওবা করা। তাওবা মানে গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করা। আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা যদি পাপাচার করতে, এমনকি তোমাদের পাপ আকাশের সীমা পর্যন্ত পৌঁছে যেত, অতঃপর তোমরা তওবা করতে; তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের তওবা কবুল করবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস, ৪২৪৮)
তওবা করার নিয়ম হলো- যেসব গুনাহ করেছেন তার ওপর অনুতপ্ত হওয়া আব্যশক এবং ভবিষ্যতে আর কখনো গুনাহ না করার করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এর জন্য তওবার নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়াও উত্তম।
এই নামাজ অন্যান্য নামাজের মতোই। শুধু নামাজ পড়ার শুরুতে তওবার নিয়ত করে নিতে হবে। যেমন, নিয়তের সময় এভাবে বলবেন যে, হে আল্লাহ ! আমি দুই রাকাত তওবার নামাজ পড়ছি, আপনি নামাজ কবুল করুন। এরপর নামাজের বাকি কাজগুলো অন্য নামাজের মতোই হবে। এতে আলাদা কোনো নিয়ম নেই। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হৃদয়ে দোয়া করতে হবে, গুনাহ থেকে মাফ চাইতে হবে।
তবে তওবা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোনো মানুষের সঙ্গে অন্যায় করা হলে বা অন্যায়ভাবে কারো হক নষ্ট করলে তার কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে। কারণ, যার হক নষ্ট করা হয়েছে, তার কাছে মাফ না চাওয়া পর্যন্ত তওবা কবুল হবে না। তার হক আদায় ও তার নিকট মাফ চাওয়া তওবা কবুলের পূর্বশর্ত। (তিরমিজি, হাদিস. ৪০৬, শরহুন নবভি : ১৭/৫৭, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ২/২৩৯)