প্রিয়নবী সা.-এর খাদেম ছিলেন যারা
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমত করতেন এমন সাহাবির সংখ্যা একেবারে কম নয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতের সুযোগ পেলে সাহাবিরা তা নিজেদের জন্য সৌভাগ্যের মনে করতেন। সব সাহাবিই নবীজির সঙ্গে থেকে তার খেদমত করতেন না। অনেকে নবীজির বিভিন্ন আদেশ মেনে তার সন্তুষ্টি ও সেবা করতেন। কখনো নবীজির দরবারে কোনো মেহমান এলে নবীজির কথা মেনে সাহাবিরা মেহমানকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। আর কিছু সাহাবি ছিলেন, যারা সবসময় নবীজির আশেপাশে থেকে নবীজির বিভিন্ন খেদমত করার চেষ্টা করতেন।
এমন সাহাবিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি মোটামুটি নবীজির সেবা মূলক সব কাজের দেখাশোনা করতেন।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর কাছে থাকতো প্রিয়নবীর জুতা ও মিসওয়াক। উকবা ইবনে আমের জুহানী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিভিন্ন সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খচ্চরের লাগাম ধরতেন। আসলা ইবনে শরীক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও সফরে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহচর হিসেবে থাকতেন।
আরও পড়ুন
হজরত যায়েদ ইবনে হারেসা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাদেম ছিলেন। নবীজি তাকে আজাদ করে দিয়েছিলেন।
হজরত বিলাল ইবনে রিবাহ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুয়াজ্জিন ছিলেন। হজরত সাদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম খাদেম ছিলেন। তারা দুজন হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর খাদেম ছিলেন।
হজরত আবু জর গিফারি রাদিয়াল্লাহু তায়অলা আনহু, আয়মান ইবনে আবিদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম খাদেম ছিলেন। আয়মান ইবনে আবিদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অজু, ইস্তিঞ্জার পানি এবং ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো দেখতেন।
এছাড়াও হজরত আসলাম, আবু রাফে, সাওবান, আবু কাবশা, সালেহ,, সাফিনাহ ইবনে ফারুক, উনায়সা নামে আরও অনেক সাহাবি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাদেম ছিলেন। (জাদুল মাআদ, ৭৪)