মহানবী সা.-এর রওজা জিয়ারতের সওয়াব
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের আগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব, যা মানুষের দুঃখ-দুর্দশার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদার খাতিরে আল্লাহ তায়ালা মদিনাবাসীর অভাব অনটন দূর করে দিয়েছিলেন। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘মদিনার কংকরময় ভূমির মধ্যবর্তী স্থানকে আমার কথা দ্বারা সম্মানিত করা হয়েছে’ (বুখারি, হাদিস, ১৭৪৮)।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমি এমন একটি জনপদে হিজরত করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি, যা সব জনপদের ওপর বিজয়ী হবে। লোকেরা তাকে ইয়াসরিব বলে থাকে। অথচ তার (আসল) নাম মদিনা। এই মদিনা খারাপ লোকদের এমনভাবে বহিষ্কার করে দেয়, যেমনভাবে কর্মকারের হাতুড়ি লোহার ময়লা দূর করে থাকে।’ (বুখারি, হাদিস, ১৭৫২)
নবীজির রওজা জিয়ারতের বিশেষ ফজিলতও রয়েছে। এক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে আমার ওফাতের পর আমার (রওজা) জিয়ারত করল, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।’ (দারাকুতনি : ২৬৯৪)
আরও পড়ুন
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন যে আমার রওজা জিয়ারত করলো তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে গেলো। (মুসলিম)
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘যে কেউ আমাকে সালাম দেয় তখনই আল্লাহতায়ালা আমার কাছে প্রেরণ করেন, অতঃপর আমি তার সালামের জবাব দেই।’ (সুনানে আবু দাউদ : ২০৪১)
মদিনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা শরিফ ছাড়াও অনেক বরকতময় স্থান রয়েছে। জান্নাতুল বাকি, শুহাদায়ে উহুদ, মসজিদে কুবা, মসজিদে কিবলাতাইন, বীরে আলী, বীরে শিফা, বীরে গারস, বীরে রাওহা, বীরে উসমান, মসজিদে খন্দক, মসজিদে বেলাল, মসজিদে জুমা, মসজিদে ইজাবা, মসজিদে গামামা, মসজিদে আবু বকর, মসজিদে ওসমান, মসজিদে ওমর, জাবালে চিলা, সালমান ফারসীর খেজুর বাগান ইত্যাদি।
এনটি