যে চার ব্যক্তি রোজা ভেঙে ফেলতে পারবেন
রোজা আল্লাহর ফরজ বিধান। মানুষের শক্তি, সামর্থ্য ও সাধ্যের বাইরে ইসলামে কোনো বিধান নেই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ কারো ওপর এমন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যাতীত।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬)
শরিয়ত সমর্থিত কারণ ছাড়া ছেড়ে দেওয়া কবিরা গুনাহ। কারণ, রমজানের রোজা ফরজে আইন। আর যে তা অস্বীকার করবে— সে কাফির। বিনা ওজরে রোজা না রাখলে ফাসিক ও কঠিন গুনাহগার হতে হবে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩-১৮৪; ফাতওয়া তাতারখানিয়া, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৩৫০)
রোজা ফরজ বিধান হওয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু কারণে ভেঙে ফেলা যায়। নিম্নে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো—
এক.
যদি এমন অসুস্থ হয়ে পড়ে যে রোজা রাখার শক্তি নেই বা রোজা রাখার দ্বারা অসুস্থতা বেড়ে যাবে, তাহলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে হ্যাঁ, যখনই সুস্থ হয়ে যাবে তখনই তার ওপর কাজা করে নেওয়া ওয়াজিব।’ (আপকে মাসায়েল, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ২০২)
দুই.
রোজা রাখার দরুন কোনো ব্যক্তি এমন দুর্বল হয়ে যায় যে, রোজা রাখার শক্তি নেই; তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য রোজা ভেঙে ফেলা বৈধ। (আপকে মাসায়েল, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ২০৩)
তিন.
রোজা রাখা অবস্থায় যদি এমন ক্ষুধা বা পিপাসা লাগে যে, প্রাণ চলে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়; তাহলে রোজা ভেঙে ফেলা যাবে। (আলমগিরি, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ২০৭)
চার.
গর্ভধারিণী নারী বা স্তন্যদানকারিণী নারী যদি নিজের ওপর অথবা নিজের বাচ্চার ওপর প্রাণাতিপাতের আশঙ্কা করে, তাহলে তার জন্য রোজা ভেঙে ফেলা বৈধ। (আলমগিরি, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ২০৭)
একজন মুসলমানের রমজান পালনের পূর্ণাঙ্গ একটি গাইডলাইন ‘যেভাবে কাটাবেন রমজান’। রমজানবিষয়ক প্রস্তুতির জন্য এবং সর্বোত্তমভাবে রমজান পালনে এই বইটি পাঠকের জন্য বেশ উপকারী। বইটি রচনা করেছেন আলেম ও সাংবাদিক মুফতি কাসেম শরীফ।