মাগরিবের পরে নফল নামাজের গুরুত্ব
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। নিষিদ্ধ সময় ছাড়া দিন-রাতের যেকোনো সময় নফল নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা উচিত।
নফল নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে মাদান ইবনে আবু তালহা (রহ.) বলেন, আমি নবীজির আজাদকৃত (স্বাধীন করে দেওয়া) গোলাম ছাওবান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে এমন আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে! তিনি বলেন, অথবা আমি বলেছি, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমলের কথা বলে দিন। এভাবে তিন বার জিজ্ঞাসার পর তিনি বললেন, আমিও নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন—
‘তুমি বেশি বেশি সিজদা করো (নফল নামাজ)। কেননা তোমার প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে আল্লাহ তোমার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং একটি গোনাহ মিটিয়ে দেবেন।’
মাদান বলেন, পরবর্তী সময়ে আমি আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনিও একই উত্তর দিয়েছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস, ৪৮৮)
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব নফল নামাজ গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করতেন তার একটি হলো মাগরিবের পরের আওয়াবীনের নামাজ। আওয়াবীন অর্থাৎ, বেশি বেশি তওবাকারীদের নামাজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এই নামাজ পড়তেন এবং সাহাবিদের পড়ার কথা বলতেন।
এক হাদিসে হজরত হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তার সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। তিনি মাগরিবের পরে এশার নামাজ পর্যন্ত নফল নামাজ পড়লেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ২/১৫, নাসাঈ, ১/৫১, সহিহ তারগিব, ১/৩১৩)
এই নামাজের ফজিলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোনো মন্দ কথা না বলে, তার আমলনামায় বারো বছর ইবাদতের সওয়াব লেখা হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১১৬৭)
এনটি