ফরজের আগে সুন্নত পড়তে না পারলে ইমামতি করা যাবে?
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার সংযোগ তৈরি করে। নামাজের সময় বান্দা একেবারে রবের কাছাকাছি চলে যায়। ইমামের পেছনে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ। জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার।’ (বুখারি, হাদিস, ৬৪৫, মুসলিম, হাদিস, ৬৪০)
ইসলামে ইমামদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ইমাম হলেন (সালাতের সার্বিক) জিম্মাদার। আর মুয়াজ্জিন হলেন আমানতদার। হে আল্লাহ, ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস, ২০৭)
ইমামদের উচিত মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ পড়ানোর ক্ষেত্রে সর্বাধিক সর্তকতা অবলম্বন করা। কোনোভাবে যেন কোনো মুসল্লির নামাজ নষ্ট না হয় এ বিষয়ে তাকে সজাগ থাকবে হবে।
নামাজের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত সব বিষয়ে সজাগ থাকা কর্তব্য ইমামদের। আগে পরের সুন্নতগুলো ঠিকমতো আদায় করা উচিত। কারণ, ইমামকে দেখেই মুসল্লিরা আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ হবেন।
সময় সংকীর্ণতা বা অন্য কোনো কারণে যদি ইমাম নামাজের আগে সুন্নত পড়তে না পারেন তবুও প্রয়োজনের খাতিরে তিনি নামাজের ইমামতি করতে পারবেন। তবে সুন্নত নামাজ ফরজের পরেও পড়ে নিতে পারবেন তিনি।
আম্মাজান হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোহরের আগে চার রাকাত (সুন্নাত) আদায় না করতে পারলে জোহরের পর তা আদায় করতেন। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস, ৪২৬)
আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত (ফরজের আগে) আদায় করতে পারেনি সে সূর্য উঠার পর তা আদায় করবে। -(তিরমিজি, ৪২৩)
তবে কোনো কারণ ছাড়া এমনটি নিয়মিত করা ঠিক হবে না।
এনটি