প্রতারণা থেকে যেভাবে সতর্ক করেছেন মহানবী সা.
মানুষ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কারণে প্রতারণার শিকার হয়। বেশির ভাগ প্রতারণা হয় অসচেতনতার কারণে। কিন্তু প্রাত্যহিক জীবনে সচেতনতা একজন মুমিনের ঈমানের দাবি। দুনিয়া ও আখেরাত দুই জীবনের ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থাকা একজন মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
তাই একজন মুমিনের এমন সব স্বভাব-চরিত্র পরিহার করা উচিত, যা তার ভেতর অসচেতনতা তৈরি করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ধৈর্য ও স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই সহনশীল ও ধৈর্যশীল হয় এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান হওয়া যায় না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৩)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ঈমুমিন কখনো এক গর্তে দুইবার পা দেয় না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৩৩, মুসনাদে আহমাদ : ৮৭০৯)
নবীজি (সা.) আরও বলেছেন, ‘মুমিন কাউকে ধোঁকা দেয় না এবং ধোঁকা খায় না’ (তিরমিজি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘(ইসলামে) ক্ষতি করা ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৩৪১)
আলোচ্য হাদিসে মহানবী (সা.) মুমিনদের সতর্ক ও সচেতন হয়ে জীবনযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সতর্কতা মুমিনের পার্থিব ও অপার্থিব উভয় জীবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মুমিন যেমন পাপের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে নিজেকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, তেমনি বৈষয়িক ব্যাপারেও সে মানুষের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকবে।
এরপর পাশাপাশি একজন মুমিনের আরেকটি গুণ হলো সে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন—তোমরা যদি মুমিন হও তবে কখনো অনুরূপ আচরণের পুনরাবৃত্তি কোরো না।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ১৭)
সমাজকে শান্তিময় ও সুখময় করতে ও শান্তির অনাবিল নীড় গড়তে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ধোঁকা ও প্রতারণা ছাড়তে হবে এবং এ থেকে সতর্কও থাকতে হবে। আল্লাহ সবাইকে বোঝার ও আমল করার তওফিক দান করুক।
এনটি