স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হজযাত্রীরা যা করবেন
হজ মৌসুমে সৌদি আরবে একত্রিত হন সারা বিশ্বের মুসলিমেরা। বিশ্ব মুসলিমের এই জনসমাগম পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় জমায়েত হিসেবে স্বীকৃত। এই বিপুল সমাগম, তাপমাত্রা অনভ্যস্ত পরিবেশ ও শারীরিক পরিশ্রম অনেকের জন্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করে।
সুস্থ শরীরে হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে কিছু ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলা উচিত। এতে করে নির্বিঘ্নে পুরো হজ সম্পাদন করা সম্ভব হবে। যেকোনও ধরনের ঝামেলা ও ভোগান্তি এড়িয়ে চলা যাবে। এমন কিছু চিকিৎসা টিপস হলো-
শারীরিক পরিশ্রমের প্রস্তুতি এবং মানসিকতা
শারীরিক এবং আর্থিক সক্ষমতার সমন্বয়ে হজ পালন করতে হয়। হজের সময় হজ পালনকারীদের প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম হয়ে থাকে। হাজিদের প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হাঁটতে হয়। হঠাৎ করে এত বেশি শারীরিক পরিশ্রম অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এ জন্য হজে যাওয়ার আগে এবং মক্কায় পৌঁছানোর পর শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। বিশেষত হাঁটার অভ্যাস থাকা প্রয়োজন।
প্রচুর পানি পান
হজের সময় হাজিরা মক্কার উষ্ণ পরিবেশে দীর্ঘ পরিশ্রম করে থাকেন। ফলে শরীরের পানির মাত্রা ঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা আবশ্যক। প্রচুর পানি পান না করলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া
সংক্রামক ব্যধির হাত থেকে বাঁচতে হাজিরা নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। বিশেষভাবে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, নাকে-মুখে হাত দেওয়ার পর, অন্যের সঙ্গে হাত মেলানোর পর, ভিড়ের ভেতর থেকে ফেরার পর।
খাবার গ্রহণে সতর্কতা
হজের সময় মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসে। তাই অনেকেই পেটের অসুখে আক্রান্ত হন। পেট সুস্থ রাখতে হাজিদের খাদ্যগ্রহণে সতর্ক থাকা আবশ্যক। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা এবং যেসব খাবারে পেট গরম হয় তা পরিহার করা। এ ছাড়া ফলমূল খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধোয়া, খাবারের পাত্রগুলো পরিষ্কার রাখা এবং বাসি খাবার পরিহার করা প্রয়োজন।
রোদ এড়িয়ে চলা
হজের সময় হাজিদের খোলা প্রান্তরে অবস্থান করতে হয়, খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ পথ চলতে হয়। এ সময় সম্ভব হলে তাঁবুতে অবস্থান করা এবং সঙ্গে ছাতা রাখা প্রয়োজন। যেন রোদে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়ে। এ ছাড়া হাজিদের উচিত, ওরস্যালাইন ও প্যারাসিটামলের মতো কমন ওষুধগুলো সঙ্গে রাখা। অসুস্থতা অনুভব করলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যবুথে যোগাযোগ করা।
এনটি