যে ৫ টি অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বিশ্বনবী
পৃথিবীতে যত অশান্তি-অনাচার এর জন্য দায়ী মূলত মানুষের পাপাচার ও স্বেচ্ছাচারী জীবনযাপন। সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। (সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)।
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে সব সময় পাপাচার এবং এমন সব বদভ্যাস থেকে দূরে থাকতে বলেছেন যার কারণে জীবনে অশান্তি ও আল্লাহর শাস্তি নেমে আসে।
পাঁচ বদভ্যাস
এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, একবার রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ভাষণে বলেন, হে মুহারেজিন দল! পাঁচটি অভ্যাসের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে মুক্তি চাই, এসব অভ্যাস যেন তোমাদের মধ্যেও না থাকে।
অশ্লীলতা
নবীজি বলেন, এর প্রথমটি হলো- অশ্লীলতা। কোনও জাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে যখন অশ্লীলতা বিস্তার লাভ করে তখন তাদের মধ্যে প্লেগ ও মহামারীর মতো এমন নতুন নতুন ব্যাধি চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা তাদের বাপ-দাদারা কখনও শোনেনি।
ওজনে কম দেওয়া
দ্বিতীয় বিষয় হলো- ওজন ও মাপে কম দেওয়া। যখন কোনও জাতির মধ্যে মাপে কারচুপির রোগ সৃষ্টি হয়, তখন তাদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ, মূল্যবৃদ্ধি, কষ্ট-পরিশ্রম এবং কর্তৃপক্ষের অত্যাচার -উৎপীড়ন চাপিয়ে দেওয়া হয়।
জাকাত না দেওয়া
তৃতীয় হলো- কোনও জাতি যখন জাকাত দেওয়া থেকে বিরত থাকে তখন আল্লাহ তাদের ওপর বৃষ্টিপাত বন্ধ করেন দেন।
আল্লাহ-রাসুলের নির্দেশ অমান্য
চতুর্থ হলো- যখন কোনও জাতি আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে করা প্রতিজ্ঞা ভেঙে ফেলে তখন আল্লাহ তাদের ওপর অজ্ঞাত শত্রু চাপিয়ে দেন। সেই শত্রু তাদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ছিনিয়ে নেয়।
আল্লাহর বিধান না মানা
আর পঞ্চম বিষয় হলো- কোনও জাতির শাসকেরা যখন আল্লাহর কিতাবের আইন অনুযায়ী বিচার-মীমাংসা করা ছেড়ে দেয় এবং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হুকুম আহকামের তাদের মনঃপূত হয় না, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের পারস্পরিক বিবাদ-কলহ বাড়িয়ে দেন। -(ইবনে মাজাহ, বায়হাকী, হাকেম)