শেষ বৈঠকে একাধিকবার দরুদ পড়ে ফেললে করণীয়
শরিয়তের বিধান মতে নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর দরুদ শরিফ পড়তে হয়। শেষ বৈঠকে দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাছুরা পড়া সুন্নাত। কেউ যদি কোনো কারণে সুন্নত ছেড়ে দেয়— তাহলেও তার নামাজ হয়ে যাবে। সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয় না। তবে সওয়াব কিছুটা কমে যায়।
তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত জেনে-বুঝে সুন্নত ছেড়ে দেয় বা সুন্নাত দেওয়াকে নিজের অভ্যাস বানিয়ে ফেলে— তাহলে সে গুনাহগার হবে। (রাদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ৪৮৩; রাদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ৪৪২; রাদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ৪২৫)
একইভাবে কোনও ব্যক্তি যদি নামাজের শেষ বৈঠকে ভুলে বা জেনেবুঝে দরুদ শরিফ একাধিকবার পড়ে তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না। সেজদায়ে সাহু ছাড়া নামাজ পড়ে ফেললে নামাজ হয়ে যাবে। তবে জেনেবুঝে ইচ্ছা করে এমন করা ঠিক নয়।
একইভাবে কেউ যদি দরুদ শরীফের অর্ধেক অংশ বা অল্প কিছু শব্দ একাধিকবার পড়ে তবুও সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না। কারণ, শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর দরুদ শরীফ পড়া সুন্নত। আর সেজদায়ে সাহু দিতে হয় কোনও ওয়াজিব ছুটে যাওয়া, একাধিকবার আদায় করা বা দেরিতে আদায় করার কারণে, তাই সুন্নত বিষয় একাধিকবার পালনের কারণে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।
দরুদে ইবরাহিমের আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
আরবি :
اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدُ، اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ।
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আলা ইবরা-হিমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হিমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১২৯১)
অর্থ : হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ কর, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করেছিলে। নিশ্চয়ই তুমি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত দান কর, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত দান করেছিলে। নিশ্চয়ই তুমি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত।