শিশুদের যেভাবে ভালোবাসতেন বিশ্বনবী
হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন এক বেদুইন নবী (স:) এর কাছে এসে বললো আপনারা শিশুদের চুমু দেন আমরাতো তাদেরকে চুমু দেই না। উত্তরে নবী (স:) বলেন আল্লাহ তাআলা তোমার অন্তর থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নিয়ে গেলে আমি তার কি করতে পারি। (বুখারী)
একদা নবী (স:) ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য গৃহ থেকে বের হলেন একটু গিয়ে দেখলেন এক শিশু মলিন বেশে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। নবী (স:) তার মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন বাবা তুমি কাঁদছে কেন? শিশুটি জবাবে বলল, আমার বাবা মা বেঁচে নেই আমি অসহায়, ঈদে আমার কোন পোষাক নেই, আমি দু:খে কাঁদছি।
নবী (স:) শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরে ফিরে এলেন, তাকে গোসল করিয়ে নতুন পোষাক দিলেন এবং বললেন আজ থেকে আমি বিশ্ব নবী মোহাম্মদ (স:) তোমার বাবা, আয়েশা (রা:) তোমার মা, ফাতেমা (রা:) তোমার বোন। নবীজির আদর পেয়ে শিশুটি তার দু:খ ভুলে গেল।
ছোট শিশু উমায়েরের একটি ছোট পাখি ছিল। একবার সে বসেছিল তার নিকট পাখিটি ছিল না। নবীজি (স:) তার কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন বললেন হে উমায়ের তোমার পাখিটি কোথায়? ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও দ্বীনি শত ব্যস্ততার মধ্যেও নবী (স:) শিশুটির পাখির বিষয়টি স্মরণ রেখেছেন বলে শিশুটি অবাক হল।
নবী (স:) এর দুই নাতি ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (রা:) কে নবী (স:) কত আদর করতেন তা ইতিহাস খ্যাত। নবীজি ঘোড়ার মত হামাগুড়ি দিয়ে চলতেন আর নাতিরা নবী (স:) এর পিঠ মোবারকে আরোহন করতেন।
যায়েদ বিন হারেসা (রা:) শিশু কালে দাস হিসেবে বিক্রি হন। হাত বদল হতে হতে নবী (স:) এর হাতে এসে পড়েন। তার পিতা মাতা তার খোঁজ পেয়ে তাকে মুক্ত করতে নবী (স:) এর কাছে আসেন। নবী (স:) তাকে মুক্ত করে দিয়ে তার পিতা মাতার সাথে চলে যাওয়ার অথবা নবী (স:) এর নিকট থেকে যাওয়ার যে কোন একটি গ্রহনের সুযোগ দিলেন। তিনি নবী (স:) এর সাথে থাকার ইচ্ছা পোষন করলেন। নবী (স:) এর স্নেহের কারণে সে এরূপ করেছিল।