ইতিকাফের সময় যেসব কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া যায়
২০ রমজানের সূর্য অস্ত যাওয়ার আগমুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। যা মুসলমানদের জন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। গ্রাম বা মহল্লাবাসীর পক্ষে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি এই ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।
ইতিকাফের অনেক গুরুত্ব ও মর্যাদা আছে। বরকতপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদর প্রাপ্তি, গুনাহমুক্ত জীবন গঠন, একাকী সংগোপনে মহান রবের ইবাদত, আত্মিক উন্নতিসাধন করাই ইতিকাফের লক্ষ্য।
ইবনে উমার (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন। ’ (মুসলিম, হাদিস নং : ১১৭১)
ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে যেসব কারণে বের হতে পারবেন:
সাধারণত ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়ার নিয়ম নেই। রাতে বা দিনে ইচ্ছাকৃত হোক কিংবা ভুলবশত। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ইতিকাফ অবস্থায় বের হওয়া যাবে।
প্রাকৃতিক প্রয়োজনে:
ইতিকাফ অবস্থায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে। যেমন প্রস্রাব-পায়খানার জন্য মসজিদে কোনো ব্যবস্থা না থাকলে বের হওয়া যাবে।
গোসল করার প্রয়োজনে:
শরীর পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে কিংবা ইতিকাফ অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তাহলে মসজিদে গোসল করার ব্যবস্থা না থাকলে বের হতে পারবেন।
জুমার নামাজ আদায়ের জন্য:
যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেখানে যদি জুমার নামাজের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে জুমার নামাজের জন্য এতটুকু সময় নিয়ে বের হতে হবে যাতে মসজিদে গিয়ে খুতবার পূর্বে ২/৪ রাকাত সুন্নাত আদায় করা যায়।