রমজানের চাঁদ দেখা জরুরি কেন?
বিশ্বব্যাপী রমজান মাসকে বরণ করতে প্রস্তুত ১.৯ বিলিয়নেরও বেশি মুসলমান। এই মাসকে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর কোরআন নাজিলের মাস বলা হয়। এই মাসটি শুরু হয় আকাশে অর্ধেক চাঁদ দেখার পর থেকে এবং শেষও হয় নতুন চাঁদ দেখার পর।
রমজান ইসলামি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। রমজান শুরু হওয়ার আগে সাধারণ মুসলমান, ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ রাতের আকাশে অর্ধেক চাঁদ অনুসন্ধান করেন। যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের মাঝে চাঁদ দেখার ঐতিহ্য চলে আসছে।
দুবাই আল মানার ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব শায়খ আয়াজ হাউস বলেছেন, শাবান মাসের ২৯ তারিখে নতুন চাঁদ অনুসন্ধান করা এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরণ করা আবশ্যক।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল সিটির একটি মসজিদের ইমাম ড. আব্দুল হামিদ জাফর বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বাইরে গিয়ে চাঁদ দেখতে শিখিয়েছেন, যা সওয়াবের কাজ।
শায়খ আয়াজ হাউস হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসকে উদ্ধৃত করেছেন, যেখানে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মাস ২৯ দিনের হয়ে থাকে, সুতরাং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখবে না। আর যদি আকাশ মেঘলা হয় তাহলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।’
শায়খ আয়াজ হাউস আরও বলেন, ‘নতুন চাঁদ দেখা গেলে বা শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হলে হাদিসে রমজান মাসের রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা গেলে রমজান মাসের রোজা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শায়খ আয়াজ বলেন, রমজানের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার আগে বা শাবান মাস শেষ হওয়ার আগে আকাশ মেঘলা থাকলে রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
সূত্র : খালিজ টাইমস
এনটি