মোবাইল অ্যাপে শোনা আজানের উত্তর দিতে হবে?
আজান ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের প্রতি আহ্বান করা হয়। নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
আজান শোনা ও আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নত। শ্রবণকারীরা আজানের উত্তর মৌখিকভাবে দিতে হয়। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তখন জবাবে মুয়াজ্জিনের মতো তোমরাও তা বলবে। ’ (বুখারি, হাদিস: ৬১১)
হাদিসে আজানের উত্তর দেওয়ার বিশেষ কিছু ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। তবে সেই ফজিলত লাভ হবে মুয়াজ্জিনের আজন সরাসরি শুনলে। ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতে, বর্তমানে মোবাইলে যে সকল অ্যাপ পাওয়া যায়, সেগুলোতে যে আজন দেওয়া হয়, সেটা রেকর্ড করা থাকে। কাজেই সেই আজানের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। -(ফাতহুল কাদীর ১/২১৬, ২১৭; আলফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআহ পৃ. ১৮২)
আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম
মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। এটা হলো- আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা এটির পরিবর্তে ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই ফিকাহবিদদের বিশুদ্ধ অভিমত। (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৫)
তবে কোনো কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতাও অনুরূপ বলতে পারবে বলে উল্লেখ রয়েছে। (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস : ৪৫৮)
এনটি