কেউ মেহমানদারি করলে যে দোয়া পড়বেন
মেহমানদারি নবীদের আদর্শ। মেহমানদারি মানুষে-মানুষে বন্ধন দৃঢ় করে। সম্পর্কের গুরুত্ব বাড়ায়। পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। মেহমানদারি সামাজিক সম্পর্ক রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার। মেহমানদারিতে আছে আনন্দ ও পুণ্য। এটি কল্যাণ ও মহত্ত্বের পরিচায়ক।
ইবরাহিম (আ.) সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আমার ফেরেশতারা (পুত্রসন্তানের) সুসংবাদ নিয়ে ইবরাহিমের কাছে এলো। তারা বলল, ‘সালাম।’ সেও বলল, ‘সালাম।’ সে অবিলম্বে কাবাবকৃত গোবৎস (ভুনা গরুর গোশত) নিয়ে এলো।’ (সুরা হুদ, আয়াত : ৬৯)
কারও বাড়িতে মেহমান এলে মেজবানের দায়িত্ব মেহমানকে আপ্যায়ন করা, এটি নবীজির সুন্নতেরও অংশ। মেজবানের বাড়ি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় মেহমানের জন্যও একটি দোয়া পড়া সুন্নত। দোয়াটি হল-
اللهم بارك لهم فيما رزقتهم، واغفر لهم، وارحمهم
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রজাকতাহুম, ওগফির লাহুম ওয়ারহামহুম। ’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তাদের যে রিজিক দিয়েছ, তাতে বরকত দান করো, তাদের ক্ষমা করো এবং তাদের প্রতি দয়া করো। ’
দোয়াটির বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার বাবার কাছে এলেন। আমরা তাঁর জন্য খাবার পরিবেশন করলে তিনি তা আহার করলেন।
তারপর খেজুর আনা হলে তিনি তা খেতে থাকলেন এবং দুই আঙুলের মাধ্যমে খেজুরের বিচি ফেলে দিতে লাগলেন মধ্যমা ও তর্জনী একত্র করে। শু’বাহ বলেন, এটা আমার সন্দেহ, ইনশাআল্লাহ এটাই সঠিক। তারপর পানীয় দ্রব্য আনা হলে তিনি তা পান করলেন, তারপর পানপাত্র তাঁর ডান পাশের ব্যক্তিকে দিলেন।
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বলেন, তারপর আমার বাবা তাঁর সওয়ারীর লাগাম ধরে বললেন, আমাদের জন্য দোয়া করুন। তখন তিনি এই দোয়া করলেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৬)
আরেক হাদিসে এসেছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত সাদ ইবনে উবাদা রা.-এর কাছে এলেন। তখন তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রুটি ও যায়তুনের তেল দিয়ে আপ্যায়ন করলেন। পানাহারের পর আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়াটি পড়লেন-
أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ
উচ্চারণঃ আকালা ত্বোয়ামাকুমুল আবরার ওছল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাহ্ ওআফ্ তার ইন্দাকুমুছ ছ’য়িমুন।
অর্থঃ আল্লাহ করুন যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশ্তাগণ যেন তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার দু’আ করে এবং রোযাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে। -(আবু দাউদ, ইবনে মাজা)
এনটি