মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী এবার দোহা
এ বছরের মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী নির্বাচিত হয়েছে কাতারের রাজধানী দোহা। মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানীর খেতাব দোহার জন্য পুরো ২০২১ সাল বরাদ্দ থাকবে। আরব ও মুসলিম বিশ্বে ইসলামী সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের ভিত্তিতে এটি নির্বাচন করা হয়ে থাকে।
বিশ্ববিখ্যাত সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর অঙ্গসংগঠন ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসিইএসসিও)-এর উদ্যোগে প্রতি বছর মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতি রাজধানী নির্বাচন করা হয়।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, কাতারের শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজনের উদ্যাগ নিয়েছে। সোমবার (৮ মার্চ) থেকে বছর ব্যাপী সাংস্কৃতিক কার্যক্রমগুলো তারা শুরু করবে।
কাতারের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং আইসিইএসসিও ও কাতারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক জাতীয় পরিষদের সহায়তায় সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো সম্পন্ন হবে।
কাতারের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আয়েশা আবদুল্লাহ কাফউদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আরব-সংস্কৃতি প্রচারের ক্ষেত্রে কাতারের ভূমিকা উৎসাহব্যঞ্জক। দোহাকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী নির্বাচনের মাধ্যমে— আরব ও ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে কাতারের দুর্দান্ত ভূমিকা ও সাংস্কৃতিক উৎসাহদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে আরবীয় ও আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবী, লেখক ও শিল্পীদের হৃদয়ে কাতার এসবের একটি বড় অবস্থান তৈরি করেছে।
আয়েশা আরও বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড -১৯) মহামারিজনিত এই ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে জোরদারে করতে ও বিশ্বের কাছে এর বার্তা পৌঁছে দিতে কাতারের অবদান ও গ্রহণযোগ্যতার একটি উজ্জ্বল নিদর্শন এই অর্জন। এছাড়াও ২০২১ সালের জন্য দোহাকে ইসলামী বিশ্বে সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে সুস্পষ্ট হয় যে, এটি একটি সংলাপের দেশ এবং সংস্কৃতি, সহিষ্ণুতা ও সভ্যতার উন্মুক্ততার একটি মিলনস্থল।
উল্লেখ্য, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন প্রতি বছর বিশ্বের তিনটি ঐতিহ্যবাহী শহরকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে থাকে। আরব বিশ্ব, আফ্রিকা ও এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরগুলোর ইসলামবিষয়ক ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মতৎপরতার ভিত্তিতে তা নির্বাচন করা হয়।
এছাড়াও নির্বাচিত রাজধানী মুসলিম বিশ্বের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীদের নিয়ে প্রতি দুই বছর পরপর একবার ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করে। সর্বপ্রথম ২০০৫ সালে পবিত্র মক্কা নগরীকে সাংস্কৃতিক রাজধানী নির্বাচিত করা হয়েছিল।