সালামের উত্তর কি মনে মনে দেওয়া যাবে?
সালাম ইসলামের অভিবাদন ও শান্তির প্রতীক। সালামের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও শান্তির বার্তা ছড়ানো হয়। এক মুসলিম অপর মুসলিমকে সালাম দেওয়া সুন্নত। আর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। সালাম দেওয়া-নেওয়া জান্নাতি মানুষের অভ্যাস। ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক।
মুসলিমরা জান্নাতে যাওয়ার সময় ফেরেশতারা বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম’, তোমরা সুখী হও।’ -(সুরা জুমার, আয়াত : ৭৩)
সালাম দেওয়া সুন্নাত কিন্তু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক।
অনেককেই দেখা যায়, সালামের উত্তর দিতে গিয়ে নিরব থাকে। চুপে চুপে নিরবে সালামের উত্তর নিলে কি তা (ওয়াজিব) আদায় হবে? সালামের উত্তর দেওয়া সম্পর্কে ইসলামের বিধানই বা কী?
উচ্চস্বরে, সুন্দরভাবে কোমলকণ্ঠে সালামের উত্তর দেওয়া উত্তম। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি নিরবে চুপে চুপে সালামের উত্তর দেয় তবে সালামের উত্তর দেওয়ার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে এতে সালামের মূল উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয় না। কেননা কোরআন-সুন্নায় সালাম বিনিময় উত্তম ও সুন্দরভাবে দেওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট।
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) খাবার দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৪-৩২৫১; দারেমি, হাদিস : ১৪৬০)
সালামের সওয়াব সম্পর্কে আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ না তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা গড়ে উঠবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলে দেব না, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালবাসতে লাগবে? (তা হচ্ছে) তোমরা আপোসের মধ্যে সালাম প্রচার কর।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৪; তিরমিজি, হাদিস : ২৬৮৮; আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৯৩; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৩৬৯২; আহমাদ, হাদিস : ৮৮৪১)
এনটি