যে তিন গুণ থাকলে ঈমানের স্বাদ পাবেন
ঈমান মুমিনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। সব আমলের ভিত্তি স্বরূপ। মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান ছাড়া আত্মার প্রশান্তি অর্জন অসম্ভব। আর ঈমানহীন আত্মা সবসময় ভয়কাতর, হীন ও দুর্বল থাকে। সে আত্মায় থাকেনা কোনো ধরনের স্থিরতা ও শান্তি। আল্লাহর প্রতি ঈমান হলো- নাজাত ও মুক্তির মূলমন্ত্র। ঈমানের অর্থ হলো, রাসুল (সা.) স্বীয় প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন, সেগুলোর অবগতির দিকে লক্ষ করে বিস্তারিতভাবে বা সামষ্টিকভাবে বিশ্বাস করা।
ঈমানের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যার ঈমান যত শক্তিশালী, তিনি ঈমানের তত বেশি ফল ভোগ করেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে, সে ঈমানের স্বাদ পায়। এক. আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল তার কাছে অন্য সব কিছুর চেয়ে প্রিয় হওয়া; দুই. কাউকে কেবল আল্লাহ্র জন্যই ভালোবাসা; তিন. কুফ্রিতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতো অপছন্দ করা। (মুসলিম, হাদিস : ৪৩; বুখারি, হাদিস : ১৬)
ঈমানের মিষ্টতা বা স্বাদের অর্থ
হাদিসে রাসুল (সা.) ঈমানের স্বাদ বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা নিয়ে হাদিসবিশারদদের মত-পার্থক্য রয়েছে। মহিউদ্দিন ইবনে আরাবি (রহ.) মতে ঈমানের স্বাদ বলতে— ইবাদতের আগ্রহবোধ সৃষ্টি হওয়া। তৃপ্তি অনুভূত হওয়া ও দ্বীনের পথে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা তৈরি হওয়া। জাগতিক বিষয়ের উপর দ্বীনকে প্রাধান্য দেওয়ার মনোবৃত্তি গড়ে ওঠা।
কাজি বাইজাভি (রহ.)-এর মতে শরিয়তের অনুশাসন ও বিধি-বিধান পালন করা স্বভাবতই কষ্টকর মনে হলেও এর উপকারিতা ও প্রতিদানের প্রত্যাশায় তা যথাযথ পালনে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার নাম হলো ঈমানের স্বাদ।