টাখনুর নিচে কাপড় পরলে যে শাস্তি পাবেন
পোশাক মানুষের জন্য আল্লাহ তায়ালার দেওয়া একটি নেয়ামত। এর মাধ্যমে মানুষের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের প্রভাব ফুটে ওঠে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদাম সন্তান! আমরা তোমাদেরকে পোশাক-পরিচ্ছদ দিয়েছি তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করার জন্য এবং শোভা বর্ধনের জন্য। আর তাক্বওয়ার পোশাক হচ্ছে সর্বোত্তম। ওটা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’ ( সুরা আরাফ, আয়াত,২৬)
পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে শালীনতার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। এবং এবিষয়ে বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথাও জানিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকে প্যান্ট, পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরে থাকেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
টাখনুর নিচে কাপড় পরার শাস্তি
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি: ৫৭৮৭) জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে।
টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন,
مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ، لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ
“যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ -(সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)
আবু জর ( রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা তো বলবেনই না; বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। এমনকি তিনি তাদের গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? এদের তো সর্বনাশ হবে। তাদের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।
রাসুল (সা.) এ কথা তিনবার বলেছেন, তারা হলো— এক. যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে। দুই. যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য বিক্রি করে। তিন. যে ব্যক্তি কারো উপকার করে আবার খোটা দেয়। (মুসলিম, হাদিস : ১০৬; নাসায়ি, হাদিস : ২৫৬৩)
এনটি