রোজা রাখার সময় দোয়া পড়তে হবে কি?
রোজার শুরুতে আমরা কি কোনো দোয়া দিয়ে রোজা শুরু করতে পারি? অনেকে এমন প্রশ্ন করে থাকেন। তারা হয়ত ভাবেন- রোজা শুরু করার আগে কোনো দোয়া রয়েছে, যেটা পড়ে রোজা শুরু করতে হয়।
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- তালহা বিন উবাইদুল্লাহ্ (রা.) বর্ণনা করেন যে, নবী কারিম (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন— তখন তিনি বলতেন-
আরবি :
اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِيمَانِ ، وَالسَّلامَةِ وَالإِسْلامِ ، رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ্! বরকত ও ঈমান দিয়ে এবং নিরাপত্তা ও ইসলাম দিয়ে আমাদের ওপর তাকে (চন্দ্রকে) উদিত করুন। আমার ও তোমার রব হচ্ছেন আল্লাহ। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১)
এই দোয়াটি রমজানের চাঁদ দেখার সঙ্গে নির্দিষ্ট নয়। বরং প্রত্যেক মাসের শুরুতে যখনই কোনো মুসলিম নতুন চাঁদ দেখবে— তখনই বলবেন।
পক্ষান্তরে, প্রতিদিন রোজার শুরুতে দোয়া করার বিশেষ কোনো দোয়া নেই। বরং ব্যক্তি অন্তরে আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করবেন।
নিয়তের ক্ষেত্রে শর্ত হলো- রাত থেকে ফজর হওয়ার আগেই নিয়ত করা। যেহেতু নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযার নিয়ত পাকাপোক্ত করেনি, তার রোজা নেই।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৩০)
আরও পড়ুন : রোজা শুদ্ধ হতে নিয়ত করবেন যেভাবে
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রোজার নিয়ত করেনি তার রোজা নেই।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস : ২৩৩৪)
হাদিসটির মর্ম হচ্ছে, যে ব্যক্তি রাত থেকে রোজার নিয়ত করেনি এবং রোজা পালনের পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি তার রোজা নেই।
প্রসঙ্গত নিয়ত হচ্ছে অন্তরের কাজ। তাই একজন মুসলিম অন্তরে আগামীকাল রোজা রাখার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেবে। নিয়ত উচ্চারণ করা শরিয়তসম্মত নয়। যেমন এভাবে বলা যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করেছি কিংবা এ জাতীয় কোনো কথা যেগুলো কিছু মানুষের উদ্ভাবিত বিদআত।