পর্তুগালে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রণে
পর্তুগালে একদিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। তবে সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সাধারণ রোগী ও আইসিইউতে ভর্তির সংখ্যা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৯ জন। আক্রান্ত হয়ে দেশের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮৯৩ জন রোগী যা আগের দিনের চেয়ে ১৬ জন কম। একই অবস্থা আইসিইউতে, আগের দিনের চেয়ে ৭ জন কমে বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৪৮ জন।
গণহারে টিকা দেওয়ার সুফল পাচ্ছে পর্তুগাল। তারই একটি উদাহরণ পাওয়া গেল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দর নগরী পর্তোর হসপিটাল দে শান্ত এন্টোনিউতে ভর্তি ৬৭ শতাংশ রোগীই করোনার টিকা গ্রহণ করেননি, যা সিএনএন পর্তুগালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন হাসপাতালের ডিরেক্টর জোযে বারোস।
পর্তুগিজ সরকারের করোনা টেস্টের প্রতি গুরুত্বারোপ করার কারণে বর্তমান অধিক সংখ্যক লোকের সংক্রমণ সংখ্যা রেকর্ড করা যাচ্ছে। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বরের হিসেব অনুযায়ী দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মেসিগুলো প্রতিদিন গড়ে এক লাখেরও বেশি র্যাপিড টেস্ট করতে সক্ষম হয়েছে। রাজধানী লিসবন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি ফার্মেসিতেই করোনা টেস্টের জন্য লম্বা লাইন।
গেল ২২ ডিসেম্বর যখন হঠাৎ করেই আগের দিনের চেয়ে যখন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারতা টেমিদো সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তবে স্বাস্থ্য সেবা খাত প্রস্তুত রয়েছে। সংক্রমণের যে উচ্চহার তা ইতোপূর্বে টেকনিক্যাল কমিটি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে তিনি নাগরিকদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত মহামারির স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পর্তুগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪ জন নাগরিক সংক্রমিত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ হাজার ৮৪০ জন। বর্তমানে দেশটিতে ৮৪ হাজার ৬৪৩ জন নাগরিক করোনা আক্রান্ত অবস্থায় আছেন।
ওএফ